অর্থের অভাবে অনিশ্চিত পলির ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন!

মা-বাবার সাথে পলি রাণী

উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্তে এসে অর্থের কাছে হেরে যেতে বসেছেন মেধাবী পলি রাণী। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দিবেন অর্থ? এমন শঙ্কায় দিন কাটছে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া পলির।

মেধাবী পলি ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে একজন ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তার সেই স্বপ্ন এখন দোলাচলে রয়েছে। এর থেকে উত্তরণ ঘটবে কী- সে চিন্তায় আছেন পলি ও তার পরিবার।

পড়ুন: র‌্যাগিং: বিদ্যুতের শক শেষে বাথরুমের পানি খাওয়ানো হয় আসিফকে

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের কান্তেশ্বরপাড়া গ্রামের দিনমজুর হলধর চন্দ্র রায়ের মেয়ে পলি রাণী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় পলি। ছোট ভাই স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দিনমজুর বাবার মেয়ে পলি অর্থের অভাবে ছোট বেলা থেকে মামার বাড়িতে থেকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন। অসচ্চল বাবার পক্ষের অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সারাদিন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে ট্রাকের মালামাল ‘আনলোড’ করার কাজ করেন পলির বাবা হলধর রায়।

পড়ুন: আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদাহরণ

প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শ টাকার আয় দিয়ে চলে তাদের কষ্টের সংসার। জমাজমি বলতে ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। পলির মা জয়ন্তী রাণীরও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। মাঝে মাঝে মাঠেও শ্রমিকের কাজ করেন।

জানা যায়, মামার বাড়িতে থেকে উপজেলা সদরের আদিতমারী কেবি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২০১৭ সালে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৫৫ পেয়ে এসএসসি ও একই কলেজ থেকে ২০১৯ সালে জিপিএ-৪.৫৮ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় ৫২৭তম স্থান লাভ করেন। আগামী সপ্তাহে পলির ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। শেষ পর্যন্ত কি অর্থের জন্য হেরে যাবেন পলি?

পড়ুন: এবার আমরণ গণঅনশনে বসছেন ৩৫ চাই আন্দোলনকারীরা

পলির বাবা হলধার চন্দ্র রায় বলেন, ভাই মুই কামলা মানুষ, মোর ছাওয়া কি টাকার কাছত (কাছে) হারি যাইবে? তিনি মেয়ের স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন।

মেধাবী পলির মা জয়ন্তী রাণী রায় মেয়ের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন।

যোগাযোগের মোবাইল নম্বর- ০১৭৫০২৪৫৪৮২, বিকাশ নম্বর- ০১৭১৬৩১৮৩৫৪

 

আরো পড়ুন:

সভাপতির চেয়ে ৬ বছরের বড় সম্পাদক, ছাড়াল বয়সসীমাও

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে ১.৭৪ শতাংশ পাস কেন?