১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে ১.৭৪ শতাংশ পাস কেন?

  © ফাইল ফটো

সম্প্রতি ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যেখানে সব ক্যাটাগরি (স্কুল, স্কুল-২ ও কলেজ) মিলিয়ে পাশের হার শতকরা ১০.৭। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত ফলাফলে শুধু কলেজ ক্যাটাগরিতে পাশের হার মাত্র ১.৭৪ ভাগ। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯২,২৭৫ জন, পাশ করেছেন মাত্র ১৬০৭ জন।

বাংলাদেশে আর কোনো বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় এত কম পাশ করানো হয়েছে কি না সন্দেহ! বিশেষ করে প্রিলি পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষায় এত কম পাশ করানোর উদ্দেশ্য কী? সত্যি বলতে, প্রভাষক (কলেজে) পদে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের পর হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর কপাল পুড়েছে! অনেকেই ফেসবুকে তাদের দুঃখের কথা বলেছেন।

আমি নিজেও কলেজ ক্যাটাগরিতে একজন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী। বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ লিখিত পরীক্ষার্থী পাশ তো বটেই, ভালো নম্বর পেলেও তাদের ফেল দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে (বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায়) হাজার হাজার পরীক্ষার্থী কলেজের লিখিত পরীক্ষায় ৭০-এর ওপরে নম্বর পাবেন বলে আশা করা যায় এবং এটা অস্বাভাবিক নয়। আমি নিজেও ৭০ প্লাস নম্বর পাব বলে আশা রাখি।

যেহেতু জাতীয় মেধাতালিকা করে এখন নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে কেন এত কম পাশ করানো হলো? যেখানে যে যার মেধাতালিকা অনুযায়ী চাকরি পাবে, সেখানে এনটিআরসিএর সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন হলো, কীসের ভিত্তিতে কলেজ ক্যাটাগরিতে এত কম পাশ (১.৭৪ ভাগ) দেখানো হলো? বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় এসে ভালো পরীক্ষা দিয়েও যদি চাকরিপ্রত্যাশীদের হতাশ হতে হয় তাহলে বেকাররা কোথায় যাবে?

এর আগে কলেজ ক্যাটাগরিতে এত কম পাশ করানো হয়নি। বিসিএসের মতো পরীক্ষায় পাশ নম্বর নির্দিষ্ট আছে এবং পাশ নম্বর পেলে তাকে পাশ করানো হয়। তাই এনটিআরসিএর কাছে প্রশ্ন—লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর তাহলে কত? পরিশেষে বিনীত আবেদন—দয়া করে চাকরিপ্রত্যাশীদের কথা চিন্তা করে পরিকল্পিত ও সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিন।


সর্বশেষ সংবাদ