বছর না ঘুরতেই সফল উদ্যোক্তা, ঢাবি ছাত্রের আয় এখন লাখ টাকা

  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাস জীবনের গণ্ডি পার না হতেই বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নৈমিত্তিক বিষয়। কিন্তু সেই নৈমিত্তিক স্রোতে পা দেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।

২০১৯ সালের অক্টোবরে আরিফুল শুরু করেন এয়ার টিকেট ব্যবসা। এক বড় ভাইকে সঙ্গে নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে বছর না ঘুরতেই এখন প্রতিমাসে আয় লাখেরও বেশি। এয়ার টিকেট বুকিং নিয়ে শুরু করে ই-কমার্স উদ্যোগ BookmyFlight. তাছাড়া মেডিসিন নিয়েও কাজ করছেন তিনি।

ছোটকাল থেকেই নিজে কিছু করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন আরিফুল। চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। ২০১৪-১৫ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হয়ে মাথায় আসে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা। আর তখন থেকে তার আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে।

উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই চেয়েছিলাম নিজে কিছু করি আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। অনেকেই তো চাকরির পেছনে ঘুরে আর তার ব্যতিক্রম হওয়ার চেষ্টা আজকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে আমাকে। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে পরিবার এবং বড় ভাই (বিজনেস পার্টনার শুভ্র ধর) অনেক সাহায্য এবং মানসিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন।

বিমান টিকেট (অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক), ইন্ডিয়ান মেডিসিন, ভিসা প্রসেসিং, ইন্ডিয়ার ট্রেন টিকেট এবং ডাক্তার এপয়েন্টম্যান্ট লেটার (সিএমসি ও অ্যাপলো) নিয়ে কাজ করছেন আরিফুল। অনলাইনের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে অফিস রয়েছে। সব মিলিয়ে তার মাসিক ইনকাম লাখের উপরে। 

এ প্রসঙ্গে আরিফুল বলেন, টিকেট বুকিংয়ের পাশাপাশি সেবামূলক কাজ হিসেবে মেডিসিন নিয়ে কাজ করছি। তাই আয় যাই হোক না কেন, মনে প্রশান্তি থাকে। 

‘BookmyFlight’ নিয়ে তার কি স্বপ্ন রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারিভাবে লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সাহায্য করতে চাই। অনেকে এজেন্সি আছে অল্প দামের টিকেট বেশি দামে বিক্রি করে এতে করে গ্রাহক আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়ে যান। আমি এই ধরনের ডাকাতি ব্যবসাকে ধ্বংস করতে চাই।

বছর না ঘুরতেই লাখপতি হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে আরিফুল জানান, কয়েক হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে এখন পুঁজি ৫ লাখের মতো। লাখপতির অনুভূতি প্রকাশ করার মতো থাকে না কারণ মনের সুপ্ত আনন্দগুলো আসলে কাউকে বলে বা বুঝিয়ে প্রকাশ করা যায় না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি এখন সুখী মানুষের মধ্যে একজন।


সর্বশেষ সংবাদ