বিসিএসে ১২০ মার্কস টার্গেট ও আমার অভিজ্ঞতা

  © টিডিসি ফটো

বিসিএসে তুখোর প্রতিযোগিতা হবে। এখানে ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসে যাঁরা ইতোমধ্যে গেজেটেড হয়েছেন এবং ৩৮তম রিটেনে যাঁরা ইতোমধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরাও ৪১তম প্রার্থীদের কাতারে মিশে গিয়ে প্রতিযোগিতাকে আরো তুখোড় করবে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ মেলে যে এই ৪১তম বিসিএস প্রিলিতে টেকা খুব কঠিন হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটুকু আপনাকে পড়তে হবে।

আপনি সারা বাংলাদেশ কিংবা সারা পৃথিবীর ঘটনা পড়লেও কোনো লাভ নেই যদি না থাকে আপনার কৌশল, টেকনিক সুনিপুণ। সেক্ষেত্রে ১২০ টার্গেট অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতেই হবে। আপনি হিউজ মার্কস কোন সাবজেক্টে আছে তা পড়ার আগে সিলিবাস ধরে খেয়াল করবেন। যে সাবজেক্টে হিউজ মার্কস থাকবে সেই সাবজেক্ট অবশ্যই অবশ্যই প্রচুর পড়বেন।

আমার কাছে বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা বাঘের মত ভয় লাগে। কারণ এখানে আপনি যতই মেধাবী হোন টেকনিক খাটিয়ে সেন্টারে পড়ে না গেলে ফেইল করবেন। আর এখানে মনের ভাব প্রকাশ করার মত কিংবা বানিয়ে লেখার মত কোনো ওয়ে নেই। আপনি লিখিত পরীক্ষাতে লেখার মাধ্যমে নিজের মেধা পরীক্ষককে দেখাতে পারবেন কিন্তু প্রিলিতে দেখাতে পারবেন না। সেটাই বড় আফসোস!

প্রশ্ন যতই কঠিন হোক আপনাকে অবশ্যই ১২০ মাকর্স ক্যারি করতেই হবে। পরীক্ষা হলের তাপমাত্রা ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে অধিক বেশি। তাই পরীক্ষা দেওয়ার সময় অবশ্যই মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। অনেকে পরীক্ষার আগের রাতে রাত জেগে ৩টা ৪টা পর্যন্ত পড়ে। আমি বলব পরীক্ষার দুদিন আগে সব রিভাইস দিবেন এবং পরীক্ষার আগের রাতে বেশি করে ঘুমাবেন। যাতে পরবর্তী পরীক্ষায় আপনার মন fresh থাকে এবং উত্তর প্রদানে সক্ষম হন।

মনে রাখবেন পিএসসির সকল প্রশ্ন মানসম্মত ও স্ট্যান্ডার্ড মানের। সকল প্রশ্নের পেছনে এক একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও দেশটির ঐতিহ্য রয়েছে। তবে ৪১তম প্রশ্ন মোটামুটি কঠিন হবে বলে আশা করা যায়। যাইহোক ১২০ পেলে যে টাইপের প্রশ্ন হোক না কেন পাস করবেন। কারণ প্রশ্ন কঠিন হলে কাটর্মাস ১২০ এর নিচে হবে। ৩৮তমে এত সোজা প্রশ্ন হবার পরও কার্টমাকস ছিল ১১৩ নাম্বার। আর কিছু লিখবনা সবশেষে সকলকে শুভ কামনা জানাই।