০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৩২

বীরত্বের পুরস্কার পাচ্ছেন ট্রেন রক্ষাকারী শিক্ষার্থীরা

  © সংগৃহীত

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেন রক্ষাকারী শিক্ষার্থীরা তাদের সাহসিকতা ও বীরত্বের পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার বড়বড়িয়া নামক স্থানে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রেললাইন ভেঙে যাওয়া স্থানে দাঁড়িয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুর গামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনকে মোবাইল ফোনের লাল আলো, গায়ের জামা, গামছা-গেঞ্জি উড়িয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে। তাদের এই সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় দুরন্ত সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের তালিকা করেছে প্রশাসন। এ তালিকায় রয়েছেন, উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর (বড়বড়িয়া) গ্রামের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাইম ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম লেবুর ছেলে বাধন (২১), একই গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে আরিফ (২১), সাইফুল ইসলাম টিক্কার ছেলে রাকিব খান (২০), বড়বড়িয়া গ্রামের হাফিজুর ইসলামের ছেলে হিমেল (১১), গোবিন্দপুর (সাতানী) গ্রামের উজ্জ্বল হালদারের ছেলে অন্তর (১১), ধীরেশ চন্দ্র হালদারের ছেলে বিপ্লব ও (১৩) মামুন হোসেনের ছেলে ইব্রাহীম (১১)।

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ সাহসিকতার সংবাদটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নজরকাড়ে। এরপর বিষয়টির স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ কাজের পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আগামী ১১ নভেম্বর (সোমবার) জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদেরকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন বলেন, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া নামক স্থানে প্রচণ্ড গরমে রেললাইনের একটি অংশ ভেঙে যায় এবং ওই এলাকার একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা সেই ভাঙা অংশ দেখতে পায়।

তিনি বলেন, তার একটু পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থল অতিক্রম করার আগেই তারা মোবাইল ফোনের আলো লাল জ্বালিয়ে, গায়ে শার্ট, গামছা, গেঞ্জি যার কাছে যা ছিলো সেটা বাঁশের কঞ্চিতে বেধে সংকেত দিয়ে ট্রেন থামায়। তাদের এই তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কারণে ট্রেনে থাকা কয়েক হাজার যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।