মায়ের অনুপ্রেরণায় ৩৯তম বিসিএসে ডেন্টালে প্রথম ডা. অভি

  © সংগৃহীত

৩৯তম বিসিএসে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারিতে (বিডিএস) প্রথম হয়েছেন ডা. মো: মাহফুজ হাসান অভি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী তিনি। এ সাফল্যের পেছনে মায়ের অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন অভি। এছাড়া বন্ধুদের অনুপ্রেরণাও এতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ৩০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট চার হাজার ৭৯২জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশকৃতদের মধ্যে সহকারী সার্জন চার হাজার ৫৪২জন। এছাড়া ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০জনকে সুপারিশ করা হয়। ডেন্টাল সার্জনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ডা. মো: মাহফুজ হাসান অভি।

দারুন মেধাবী অভি শুধু বিসিএসেই নয়, সাফল্য দেখিয়েছেন মেডিকেল কলেজেও। প্রথম পেশাগত বিডিএস পরীক্ষায় তৃতীয় হওয়ার পাশাপাশি তৃতীয় পেশাগত পরীক্ষায় সার্জারীতে পেয়েছেন অনার্স। এছাড়া শেষ বর্ষের পেশাগত পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম স্থানও অর্জন করেছিলেন তিনি।

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের সন্তান অভির পিতা আবদুল মোমেন এবং মাতা উম্মে সালমা। তিন ভাইয়ের মাঝে সবার ছোট অভি ১৯৯৬ সালে বাবাকে হারান। এসএসসি পরীক্ষায় গফরগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পান তিনি। এছাড়া এইচএসসিতে নটরডেম কলেজ থেকে পান জিপিএ-৫।

ডা. অভি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘প্রথম হওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার ছিল। এখনও ইন্টার্ন চলায় পড়াশোনার জন্য মাত্র তিন মাসের সময় পেয়েছি।’ এ সফলতার পেছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল বিসিএস দেওয়ার, বিদেশে যাওয়ার বিপক্ষে তিনি। এ ফলাফলে ‘মা’ সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এছাড়া বন্ধুদের সহযোগিতাও ছিল, সবাই একসঙ্গে পড়াশুনা করতাম।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামে পোস্টিং হলে সেখানেই মানুষকে সেবা দেব। তাছাড়া উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করবো, দেশেই থাকবো।’ তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকদের মাধ্যে অবশ্যই গ্যাপ আছে, তবে অতটা নয়। গ্রামে গেলেও বেশিদিন থাকতে চাচ্ছে না চিকিৎসকরা, তার আসল কারণ বের করে সমাধান করা উচিৎ। সিস্টেমের বাইরে গিয়ে কিছু করা কষ্টকর। চিকিৎসকদেরকেও দায়িত্বটা বুঝে নিতে হবে।

এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অভি বলেন, ‘অবশ্যই নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। ক্লিনিক্যাল কাজগুলো মনযোগ দিয়ে করতে হবে। এসবের মাধ্যমে বেসিকটা ভাল হলে পরবর্তীতে সবকিছু অনেক সহজ হয়ে যায়। আর বিসিএসে মেডিকেল ছাত্রদের জন্য জেনারেল পার্টটা সবসময়ই কঠিন। জেনারেল নলেজটা ভাল থাকলে এটা খুব কঠিন কিছু না।’ বিসিএসর জন্য বেসিক অনেক ভালো হতে হবে বলেও মনে করেন ডা. মো: মাহফুজ হাসান অভি।


সর্বশেষ সংবাদ