প্রেমের প্রহরী কি পুলিশ ! ভাইরাল ছবির গল্প

ভালবাসা দিবসের ভাইরাল ছবি

প্রেমিক যুগলের চলছে ভালোবাসার রম্য রচনা লেখার মুহূর্ত।কিংকর্তব্যবিমূঢ় পাশে থাকা নিশ্চুপ তিন পুলিশ সদস্য।
প্রেমিক যুগলের চলছে ভালোবাসার রম্য রচনা লেখার মুহূর্ত।কিংকর্তব্যবিমূঢ় পাশে থাকা নিশ্চুপ তিন পুলিশ সদস্য।   © সংগৃহীত

পরনে বিয়ের শাড়ি, হাতে চুড়ি, মাথার চুল বিলিয়ে থাকা লাজুক চেহারা মধ্যে অপরাহ্ণের সূর্যের আলো পড়াতে কনে স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে। ইংলিশ বরের স্টাইলে বাঙালি প্রেমিক হাজির হলো প্রেয়সীর সামনে। প্রেমিক পুরুষ মর্তে থেকেও স্বর্গীয় রূপের সন্ধান পেয়ে হারিয়ে ফেলছে খেই। যেন দুজনা আজ তাদের জীবনের সর্বোচ্চ রোমাঞ্চের মুহূর্ত অতিবাহিত করছে। প্রেমিক যুগলের চলছে ভালোবাসার রম্য রচনা লেখার মুহূর্ত। 

এসময় বাঙালি পুলিশ ভাইরা এসে হাজির, বাংলা মুভির একশনে না গিয়ে তারাও আস্বাদন করছে স্বর্গীয় প্রেমলীলা। কিংকর্তব্যবিমূঢ়  নিশ্চুপ তিন পুলিশ সদস্য। পেশাগত দায়িত্বই যেন তাদের কঠোর নিরাপত্তা ও নিশ্চুপ আনন্দের। পুলিশের চোর পাকড়ানোর চেহরা পরিবর্তন হয়ে ফুরফুরে সতেজতা লাভ করল। মনে হয়, তারাও মর্তলোকের নিয়ম কানুন ভুলে গিয়ে দর্শক গ্যালারীতে দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে চলুক না কিছুক্ষণ, টিকিট তো লাগছে না। আবার থিয়েটারে যাবার সময় বা পায় কই? 

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুগলের পিছনে পুলিশের পজিশন নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে গেছে। যুগলের পাশাপাশি পুলিশের ধৈর্যশীল দৃশ্য অবলোকনের আলোচনা-সমালোচনার সাথে চলছে রসাত্মক ব্যঙ্গ মন্তব্য।

বাংলাদেশের সেরা ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের চোখে একজন পুরুষ ও একজন মহিলার যুগল দৃশ্য পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা দৃশ্য। যদিও বাঙালি সমাজ তা মেনে নিতে নারাজ। প্রকাশ্যে চাঁদ-সূর্য, গাছপালা, পশু-পাখি সবাইকে সাক্ষী রেখে প্রেম নিবেদন করার দৃশ্য বাঙালি সভ্য সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে আরো হাজার বছর লাগবে। তাই বলে বাঙালির রক্ত-মাংসে গড়ে ওঠা আধুনিক প্রজন্মরা হাজার বছরের অপেক্ষায় থাকবে? তা হবে না।

উপরের ভাইরাল ছবি নিয়ে ফেইসবুকে একজন লিখেছেন, “মানুষ কেবল পুলিশের দোষ খুজেঁ বেড়ায়..এই মাছুম দুটি বাচ্চার ভালবাসা পালনে কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ ভায়েরা। তবে নির্মম বাস্তবতা, এমন মহান দিনে কিন্তু পুলিশ ভায়েরা নিজেদের উদযাপন বিসর্জন দিয়েছে। ভালবাসা সবার মধ্যেই রয়েছে।” 

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ