ঢাবিতে যান চলাচল এখনও সীমিত, ক্যাম্পাস-হলে প্রবেশে বাধা নেই

  © লোগো

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ৬ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে সব আবাসিক হল। এরপর ক্যাম্পাস লকডাউন করা হলেও বর্তমানে সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের প্রবেশে কোন বাধা নেই। তবে যানবাহন চলাচল এখনও সীমিত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলে আমরা ক্যাম্পাসের লকডাউন সীমিত রেখেছি।

সূত্র বলছে, আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে রুমে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র কিংবা দরকারি কাগজ-পত্র নিয়ে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে হল গেটের নিরাপত্তকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। আবার মাস্টার্স পাস শিক্ষার্থীরাও চাইলে হল ছাড়তে পারবেন। ইতোমধ্যেই হল ছাড়াতে তাদেরকে জন্য নির্দেশনাও দিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় বন্ধের পর সর্বশেষ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে ঢাবি প্রশাসন ১৬ মার্চ এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর আবাসিক হলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৪ মার্চ থেকে ক্যাম্পাস লকডাউন করা হয়। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সকল প্রবেশ পথ বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। আর জনসাধারণের প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা।

তবে বর্তমানে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে অনলাইনে। আর প্রশাসনিক কার্যক্রমও চলছে সীমিত আকারে।

ক্যাম্পাসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলক্ষেতের গেইট ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশের বাকি ফটকগুলোয় ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসে অন্য ফটক দিয়ে যান চলাচল করছে। তাছাড়া কোন ফটকে নেই নিরাপত্তকর্মী। ফলে ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশে তেমন বাধা নেই। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় নামার সাথে সাথে টিএসসি, শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে অনেককে আড্ডা দিতে দেখা যায়। তবে তাদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রবণতাটা খুবই কম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল ধরনের পরিবহন ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমরা খুলে দিয়েছি। ক্যাম্পাসে যেহেতু কনস্ট্রাকশন কাজ এবং অন্যান্য কাজ চলমান তাই লকডাউনকে সীমিত রাখা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস কিংবা হলে আসতে পারবে বলেও জানান তিনি।