ডুজা সম্পাদকের ওপর হামলা: এবার রাজনৈতিক ব্লেইম গেইমে চেয়ারম্যান

  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরানের হামলার পর এবার কাদা ছুঁড়তে শুরু করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। শনিবার (৮ আগস্ট) ঢাবি সাংবাদিক সমিতি বরাবর দেয়া এক চিঠিতে ইমরানকে রাজাকারের নাতি ও বিএনপি পরিবারের সন্তান দাবি করে সতর্ককরণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্‌বান জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক মন্ডল।

এর আগে স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে ঈদুল আজহার দিন হামলার শিকার হন এইচ এম ইমরান। নিজ এলাকায় কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ওই হামলায় তার ছোট ভাই ও বাবা আহত হন। হামলার পর আহত ইমরানকে ঝিনােইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মূলত সেই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনার প্রেক্ষিতেই শনিবার ঢাবি সাংবাদিক সমিতি বরাবর এই ঠিঠি দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক মন্ডল। চিঠিতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।চিঠিতে চেয়ারম্যান ইমরানের পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন।

এতে লেখা হয়, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার দাদা মৃত মনছুর আলী স্বাধীনতাবিরোধী (রাজাকার) ছিলো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। পরবর্তীতে তার বাবা মো. মতিয়ার এবং তার পরিবারের সকলে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তার মামা মো. আঃ লতিফ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। ১৯৯০ ইং সাল থেকে ২০০৮ ইং পর্যন্ত ইমরানের পরিবার দ্বারা অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ পরিবার নির্যাতিত হয়েছে। নির্যাতনের প্রমাণস্বরূপ গারাপোতা গ্রামের নিজাম মাস্টার, আঃ রাজ্জাক, আঃ ছালাম আঃ রহমানের ২০ (বিশ) বিঘা জমি দীর্ঘ ১০ (দশ) বছর জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল’।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘আমার দাদা ১৯৭০ সালে মারা গেছেন। চেয়ারম্যান যে বানিয়ে অভিযোগ করছেন; তার এই বক্তব্যই সেটি প্রমাণ করে। তিনি বলেন, আমার পরিবারের কেউ জামাত কিংবা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। আমার এলাকায় যে কাউকে আপনি বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে পারেন’।

ইমরান আরও বলেন, ‘আমার উপর হামলার পর ছাত্রলীগ-ছাত্রদল, বামসহ সকল ছাত্র সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। এটাকেই তারা ইস্যু বানিয়ে প্রচার করছে যে, আমি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। অথচ ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিলের সম্মুখভাগে ছিলাম আমি।’ হামলার পর তার জীবন নষ্ট করতেই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এমন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ইমরানের।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক মন্ডল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বাঁশবাড়ির লোকজনের কাছে ইমরানের দাদা একজন ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজাকার ছিলেন। ইমরানের বাবা মতিয়ার এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইমরানের পরিবারের দ্বারা এই ইউনিয়নের অনেক মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন’।

তিনি বলেন, সামান্য একটি ঘটনাকে ইমরান অনেক বড় করেছে। ইমরান যখন হাসপাতালে ছিল, তখন আমি তাকে সমঝোতার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে তাতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টা এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ