০১ আগস্ট ২০২০, ১২:১৭

ঢাবি শিক্ষকরা এবার কেমন কোরবানি ঈদ কাটাচ্ছে?

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর কারণে এবারের পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ সকলের কাছে যেন অন্যরকম অভিজ্ঞতা। অন্য বছর খুব আমেজ, আগ্রহের সাথে পালিত হতো মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে ঢাকায় বা গ্রামে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করতেন। এবার কেমন কাটছে তাদের ঈদ- এ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে অনুভূতি শেয়ার করেছেন কয়েকজন শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আবাসিক হল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান বলেন, ঈদ একটি সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ঈদুল আজহার মূল মর্মবাণী- আত্মশুদ্ধির আলোকে যেন বাকি জীবন পরিচালনা করতে পারি সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। এটাই আমাদের কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। অন্যান্য বছরের মতো তো এবছরের ঈদ নয়। এবছর ঈদ আনন্দের চাইতে বিষাদ, বেদনা বেশি। আমি আমার পরিবার নিয়েই ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদ উদযাপন করছি। পরিবারের সাথেই সময় কাটাবো।

পরিবার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের কোয়ার্টারে রয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জীবনযাপন করছি। করোনা কোভিড-১৯ এর ফলে অন্যান্য বছরের চাইতে একটু ভিন্নভাবে উদযাপন করতে হচ্ছে এ বছরের পবিত্র ঈদুল আযহা। পরিবারের সাথেই ঈদের সময় কাটছে। তাদের সাথেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছি। অন্যকোন শিক্ষক, আত্মীয় এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর বাসায় গিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করার পরিকল্পনা আমার নেই।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বছর কিছু শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতো পাশাপাশি হলের কর্মচারীরা থাকার ফলে কোরবানি উপলক্ষে বিভিন্ন পশু জবেহ করা হতো। এবারে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতি বছরের ন্যায় সেই আয়োজনটা থাকছে না।

কেমনে কাটছে এবারের ঈদ, এ ঈদে আপনার পরিকল্পনা কেমন- এ প্রশ্নে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.উপল তালুকদার বলেন, আমি প্রতি বছর ঈদের পরে বাড়িতে যাই। কিন্তু এবারে সেরকম কোন পরিকল্পনা আমার নেই। পরিবার নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থাকছি। ঈদের নামাজ পড়ে পরিবারের সাথেই সময় কাটছে। আবাসিক শিক্ষকদেরকে সাথে নিয়ে কোরবানি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সে অনুযায়ী কাজ হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিবারের সাথেই আছি। এই বছর যেহেতু অন্যান্য বছরের মতো নয় তাই এবারের ঈদ উদযাপনটা একটু ভিন্নরকম হবে। পরিবারের সাথে সাদামাটা পরিসরে সামাজিক দুরত্ব, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের ঈদ উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি করোনা কোভিড-১৯ এর করণে অন্যন্য বছরের মতো বিভিন্ন আত্মীয়, শুভাকাঙ্কীদের বাসাতে গিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা নেই।