অবৈধভাবে থাকা ছাত্রদের বের করতে ঢাবির হলে অভিযান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলে অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলে অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ  © টিডিসি ফটো

হলে অবৈধভাবে থাকা, মাস্টার্স শেষ হওয়ার পরেও অবস্থান করা এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করাসহ হলের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হল প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হলের বিভিন্ন কক্ষে এ অভিযান চালায় হল কর্তৃপক্ষ। এ সময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খান ও আবাসিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, হল প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে চলা এ অভিযানের মাধ্যমে যেসব শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে কিংবা হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তাদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করা এবং যেসব কক্ষে বৈদ্যুতিক চুলা, হিটার অথবা ইস্ত্রি রয়েছে, তা অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার না করতে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেয়ারও কথা জানানো হয়েছে।

হল প্রশাসনের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান শাকের বলেন, গতকাল রাতে স্যার (হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহীন) অভিযান চালিয়েছেন। উনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই হলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যা চাই, তার বাস্তবায়নে স্যার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা এতে খুশি। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. প্লাবন ইসলাম বলেন, হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো হওয়া থেকে শুরু করে, ছারপোকা নিধন কার্যক্রম চলছে। আমরা ইতিবাচক পরিবর্তনের অপেক্ষায়। কবি জসীম উদ্দীন হল হবে স্মার্ট হল।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীন খান বলেন, আসলে এটি হল প্রশাসনের একটি নিয়মিত ও চলমান প্রক্রিয়া। হল প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব কমানো এবং শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হলে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করা, হলের ডাটাবেস আপডেট করা, পাসকৃত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নতুনদের জন্য হলের সিট ছেড়ে দিতে উদ্ধুদ্ধ করা এবং রুমে হিটার ব্যবহার বন্ধ করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীন বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমরা (হল প্রশাসন) ছাত্র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করছি, সবাইবে সঙ্গে নিয়ে কবি জসীমউদ্দিন হলকে অল্প সময়ের মধ্যেই শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence