আজ থেকে বন্ধ কোচিং সেন্টার, সন্দিহান অভিভাবকরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আজ রবিবার থেকে সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় মনিটরিং কমিটির’ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ‘এবার ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।’ তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এর ফলে কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এবারও সুষ্ঠু পরিবেশে যেন পরীক্ষা হয় এবং কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। 

প্রায় সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে গতবছরও এসএসসির তিন দিন আগ থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কোনো সেন্টার আবার সম্ভাব্য প্রশ্নের একটি প্রশ্নমালা বা সাজেশন তৈরি করে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে ফেসবুকে বা অন্যত্র প্রচার চালান। এই সাজেশনেরও দু’একটি প্রশ্ন কমন পড়ে গেলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। 

এদিকে কোচিং সেন্টার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান অভিভাবকদের অনেকে। তারা বলছেন, সারাদেশে হাজার হাজার কোচিং সেন্টার। এত কোচিং সেন্টারের মধ্যে কে খোলা রাখল আর কে বন্ধ রাখল, তা নিশ্চিত করা হবে কীভাবে? তিনি বলেন, সরকারকে কেবল আদেশ দিলেই হবে না, তদারকির মাধ্যমে সত্যিই কোচিংগুলো বন্ধ হলো কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে। 

অভিভাবকদের বক্তব্য, কোচিং সেন্টার চালাতে দেওয়াই তো অবৈধ, বেআইনি, আইনের চোখে অপরাধ। তাহলে এগুলো আবার কিছুকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ সরকার কীভাবে দেয়? সরকারের তো এগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কথা।

প্রসঙ্গত, এ বছর চার হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি সংগীত বিষয়ের এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চের মধ্যে অন্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ