পলিটেকনিক ভর্তির নীতিমালা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

  © সংগৃহীত

সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে যেকোন বয়সের শিক্ষার্থীদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষকরা দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান।

আজ শুক্রবার (১৪ আগস্ট) আইডিইবি উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি  এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত নতুন ভর্তি নীতিমালা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য ও বর্তমানে সফলভাবে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পায়তারা। ২০১৯ সালের আগের নীতিমালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। তা না হলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন ছাত্র-শিক্ষকরা।

আইডিইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ বলেন, পিতৃতুল্য কিংবা বড় ভাইয়ের বয়সী শিক্ষার্থীদের সাথে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ফারাকের কারণে শ্রেণিকক্ষের ভারসাম্য নষ্ট হবে, সামাজিক ও প্রশাসনিক সমস্যার সৃষ্টি হবে। শিক্ষকদের পক্ষে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হবে না। ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পাবে। সমাজে ডিপ্লােমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাথে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনাকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে এক করে ফেলেছে, যা খুবই হতাশাজনক। ১৫-২০ বছর আগে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কারিকুলামের সিলেবাসভুক্ত বিষয়গুলো অনুধাবন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ