করোনায় প্রণোদনা চান বেসরকারি পলিটেকনিক শিক্ষকরা

দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯টি পলিটেকনিকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৫০০টির অধিক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।​ এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার শিক্ষক। তাদের জীবনযাপন নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতনের উপর। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই​ এসব শিক্ষকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। যার কারণে​ করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি এসব শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছে। চরম অর্থ সংকটে নিজেদের অভাব-অভিযোগে কাউকে বলতে না পেরে অনাহারে জীবন যাপন করছে অনেকে।

কথা হয়েছিল খুলনার একটি স্বনামধন্য বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষকের সাথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক জানান, করোনা ভাইরাসের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানটি গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সরকার ঘোষিত ছুটি হয়তো আরো বাড়বে। আমাদের প্রতিষ্ঠানেই ৩০ জনের অধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। যারা প্রতিষ্ঠানটির বেতনের উপর নির্ভরশীল।

সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ​ আমাদেরকে মার্চ​ মাসের বেতন দেওয়া হবে না বলে জানায়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশে যদি কারখানার শ্রমিকরা বেতন পায় তবে কি আমরা শিক্ষকরা আমাদের ন্যায্য বেতনটুকু পেতে পারি না।​ বরিশালের আইডিয়াল পলিটেকনিকের এক শিক্ষকও জানান তাদের মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।​

বেসরকারি পলিটেকনিকের এসব শিক্ষকদের নায্য অধিকার আদায়ের বড় কোন সংগঠন নেই বিধায়​ তাদের অভিযোগ প্রদানেরও সুযোগ পাচ্ছে না। সব প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নিশ্চিত করার পাশাপাশি​ প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষ যাতে তাদের আপদকালীন সময় বেতন প্রদান করে- এ বিষয়​ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ