১০০-তে ১১০ নম্বর পেলেন বাংলাদেশি ছাত্রী মৃত্তিকা

মৃত্তিকা কবির
মৃত্তিকা কবির  © টিডিসি ফটো

মৃত্তিকা কবির। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তিনি যন্ত্র প্রকৌশল পড়ে স্নাতক হয়েছেন। ব্যবসায় শিক্ষার কিছু বাড়তি কোর্স নিয়েছিলেন স্রেফ আগ্রহের বশে। আর সেখানে দেখালেন চমক। মৌলিক অর্থনীতি (বেসিক ইকোনমিকস) নামের কোর্সটিতে পেয়েছিলেন ১০০-তে ১১০!

ক্লাসে-পরীক্ষায় এতটাই ভালো করেছেন যে ১০০-তে ১০০ দিয়েও শিক্ষকের মন ভরেনি। মৃত্তিকা পেয়েছিলেন অতিরিক্ত আরও ১০ নম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটিমাত্র কোর্স ছাড়া বাকি সব কোর্সে ‘এ’ পেয়েছেন। আধা নম্বরের জন্য যে কোর্সে ‘এ’ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, তার নাম ইন্ট্রোডাকশন টু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

বাবা কবির বিন আনোয়ার বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে আছেন। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে খুব অদ্ভুত একটা ছেলেবেলা কেটেছে মৃত্তিকার। হাতেখড়ি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের একটা স্কুলে। সেখান থেকে হুট করে বাবার বদলি হয়ে যায় রাঙামাটিতে।

নিউজিল্যান্ড থেকে হঠাৎই রাঙামাটির একটা বিদ্যুৎহীন গ্রামের স্কুলে গিয়ে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু সেটাও একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা। পরে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।

জানা গেছে, মৃত্তিকার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী, বৈচিত্র্যপূর্ণও। ছাত্রজীবনেই প্রকৌশলসংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেছেন। লম্বা ছুটিতে যখনই দেশে এসেছেন, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছেন বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতেও (ব্যাট) ইন্টার্নশিপের সুযোগ হাতছাড়া করেননি।

সম্প্রতি ৩.৯৭ সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন মৃত্তিকা কবির এখন যুক্তরাষ্ট্রের এসপিএক্স ফ্লো নামে একটি প্রতিষ্ঠানে রোটেশন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমার চাকরিটা বেশ মজার। দুই বছর ধরে আমি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর এশিয়া ঘুরে এই প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো সম্পর্কে জানব, বুঝব। এটা মূলত একজন তরুণ কর্মীকে প্রধান নির্বাহী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একধরনের প্রশিক্ষণ প্রকল্প।’


সর্বশেষ সংবাদ