কত দিন আমাকে আটকে রাখবেন, বের হয়ে আপনাদের দেখে নেব

‘কত দিন আমাকে আটকে রাখবেন? যখন বের হব তখন আপনাদের দেখে নেব।’ হেলিকপ্টারে তোলার সময় র‌্যাব কর্মকর্তাদের এভাবেই হুমকি দেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। র‌্যাবের  দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সাহেদকে যখন র্যাব কর্মকর্তারা পাকড়াও করেন, তখনও তাকে তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকানোর একটি ভিডিও আলোচনায় আসে।

করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমসহ ১৭ জনের নামে গত ৭ জুলাই মামলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় সাহেদকে গত বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

জানা যায়, করোনা ছাড়াও অন্য মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। চেক জালিয়াতির মামলায় ১০ বছর আগে ছয় মাসের সাজা হয় তাঁর। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ২০১০ সালে ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন তাঁকে। ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, ‘চেক প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাহেদ করিম। ২০০৮ সালে মজিবর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচার শেষে ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট সাহেদকে ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। একই সঙ্গে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।’

তিনি বলেন, ‘সাহেদের বিরুদ্ধে তখনই আদালত থেকে সাজার পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরেনি। ফলে বাদী তাঁর টাকাও পাননি। ওই মামলায় সাহেদ পলাতক থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।’

১০ বছর আগে সাহেদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত নতুন করে সাজার পরোয়ানা জারি করেছেন। গত সোমবার সাহেদের এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এখন সাজা পরোয়ানা কার্যকর প্রসঙ্গে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ‘সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতের সাজা পরোয়ানা হাতে পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ