কত হিরামনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এর কোনো হিসাব নেই: রিজভী

  © টিডিসি ফটো

লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী হিরামনিকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালেয়ে সামনে বেলা ১২টার দিকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। যেভাবে গুম-খুন, মিথ্যা মামলা হচ্ছে, তারা থেমে নেই। সবাই দেখেছে, বাসা থেকে নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনার মধ্যেও কেন বাবা-মাকে ছেলের জন্য হাহাকার করতে হবে?’

তিনি বলেন, ‘এই মেয়েগুলোর নিরাপত্তা নেই। কারণ আপনি দুঃশাসন চালিয়েছেন। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই রাষ্ট্রযন্ত্র চালাতে গিয়ে কত যে হিরামনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এর কোনো হিসাব নেই।’

ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, নিজ বাড়িতেও মা-বোনেরা নিরাপদ থাকতে পারছেন না। করোনার মধ্যে একদিকে যখন কঠিন পরিস্থিতি, অন্যদিকে মা-বোনদের হত্যা-ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। হিরামনিকে ধর্ষণ এবং হত্যার সাথে যারাই জড়িত হোক না কেন, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া যাবে না। এসময় বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে, দেশের ধর্ষণের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন। একদিকে আমাদের সহযোদ্ধা ভাইয়েরা গুম, খুনের শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে মা-বোনের ঘরের ভেতরেও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ কেমন উন্নয়ন, যেখানে নিজের ঘরের ভেতরেও মা-বোনের ইজ্জত রক্ষা করা যাচ্ছে না।’ এসময় অবিলম্বে হিরামনির ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, মাজেদুল ইসলাম রুমন, ওমর ফারুক কাওসার, মোক্তাদির হোসেন তরু, মিজানুর রহমান সজিব, শফিউল ইসলাম শাফি, পাভেল সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুগ্ম সম্পাদক তানজীল হাসান, মিজানুর রহমান শরীফ, নিজামুদ্দিন রিপন, মারুফ এলাহি রনি, শ্যামল মালুম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন নিলয়, সুলতানা শারমিন জুই, আবু আফসান ইয়াহিয়া ও আলাউদ্দিন খান এবং সহ-সাংগঠনিক তাওহীদ আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরামনিকে নিজের ঘরে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে ওই গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে। তার ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তার মা ও ছোট দুই ভাই-বোন ঢাকায় হাসপাতালে ছিলেন। হিরামনি শুক্রবারই নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরে।