করোনা মহামারিতে সুকুমার বাউলের পাশে ছাত্রলীগের ইসতিয়াক

  © সংগৃহীত

বাউল সুকুমার মহন্ত নামে কেউ কেউ না চিনলেও ‘বলব না গো আর কোন দিন, ভালবাসো তুমি মোরে’ এই গান শোনেনি এমন কোন মানুষ পাওয়া কঠিন। জনপ্রিয় এই গানের জনকই সেই বাউল সুকুমার। জীবনের পুরোটা সময়ই পার করে দিয়েছেন বাউল জগতে। বাউল সংগীতকে ভালবেসে এখনো আকড়ে ধরে রেখেছেন বাংলার এই ঐতিহ্যকে।

বগুড়া জেলার সোনাতলার একটি গ্রাম বিশ্বনাথপুর। সেখানেই অনেকটা জরাজীর্ণ ঘরে বাস করেন। সাথে রয়েছে দুই নাতনী, এক নাতি। ছেলে, ছেলের বউসহ আট জনের সংসার নিয়ে করোনা মহামারির এই সময়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছিলেন বাউল সুকুমার।

এমন সময় তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে দিয়েছেন, চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, চিনি, আটা, তেল, সাবান, টোস্ট বিস্কুট, মুড়ি, ডিম, লবণ, রাঁধুনি হলুদের মশলা, মরিচের মশলা, হুইল পাউডার, সেমাই, লেক্সাস বিস্কুট, দেশি মুরগি, লেবু, কলা, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি।

ইসতিয়াক জানান, ‘আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২৭টি পরিবারকে বাজার এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছি। মানবতার কাছে আমরা হেরে গেলে করোনা যুদ্ধে হেরে যাব। হারতে চাইনা। আমার এ চেষ্টা অব্যাহত রাখব। মানবিক কাজগুলো করার মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে মনে ধারণ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

সামনের দিনগুলোতেও বাউক সুকুমারের পারিবারিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক। বাউল সুকুমার মহন্ত বলেন, ‘হৃদয় দাদা পরশু দিন ফোন করছিল। কইছিল দাদারে দেখবো। এরপরে আর ফোন দেয়নাই। আজকে দেখি, আমার বাড়ির উঠান ভইরে গেছে এত এত বাজার দিয়া। ফোন কইরা কইল, দাদা আপনারে সারপ্রাইজ দিব, এজন্য ফোন করিনাই। দোয়া করি হৃদয় দাদার মঙ্গল হোক।’

এর আগে ইসতিয়াক ২১ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৩০০-৪০০ কুকুর-বিড়াল খাওয়ানোর কাজ করেছেন। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এখনো সেই কার্যক্রম চলছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ (ডিইউআরএস)-এরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ