বগুড়ার ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করলেন ছাত্রদল সভাপতি

  © টিডিসি ফটো

বগুড়ায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদল বলছে, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ প্রথমে হামলা করে। এরপর ছাত্রদল-পুলিশ হাতাহাতির ঘটনায় উভয়পক্ষে আহতের ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন।

জানা গেছে, ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার খোকন পার্কে আলোচনা সভার আয়োজন করে বগুড়া জেলা ছাত্রদল। ওই কর্মসূচি ঘিরেই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। মূলত, খোকন পার্কের শহীদ মিনারে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের জুতা পায়ে ওঠা এবং তাতে পুলিশের বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত বলে অভিযোগ সংগঠনটির বিরুদ্ধে।

তবে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেছেন, জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার অভিযোগ বানোয়াট। জেলা ছাত্রদলের একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশই প্রথমে হামলা করে। এরপর উভয়পক্ষে হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য ও ছাত্রদলের ২২ নেতাকর্মী আহত হন বলে তিনি দাবি করেন। এসময় সংগঠনটির ২৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে জনিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেন ছাত্রদল সভাপতি।

ফজলুর রহমান খোকনের অভিযোগ, সরকার সবসময় ছাত্রদলের কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। সংগঠনটির কর্মসূচি পণ্ড কারতেই পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি তার।

বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানও হামলার বিষয়ে অস্বীকার করেছেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে নেতা-কর্মীদের ওঠার অভিযোগ সঠিক নয়। পুলিশ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হঠাৎ করেই হামলা চালায়। আমরা অনুমতি নিয়েই সমাবেশের আয়োজন করি। এরপরও পুলিশ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম বদিউজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিন।