ছাত্রদলের কাউন্সিল: কোনো গ্রুপেই স্থির থাকেননি মামলার বাদী আমান?

  © সংগৃহীত

ছাত্রদলের কাউন্সিলের একদিন আগে বৃহস্পতিবার আমানউল্লাহ আমানের এক মামলায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালত। আদালেতের এই আদেশের পর থেকে ছাত্রদলসহ বিএনপি নেতাদের মধ্যে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে আমান।

২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত একেক সময়ে একেক গ্রুপের সাথে রাজনীতি করেন। তবে কোনো গ্রুপেই স্থির ছিলেন না আমান। তবে সকলের মধ্যে কৌতূহল বিরাজ করছে যে কে এই মামলার বাদী আমান?

জানা যায়, ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন আমানউল্লাহ আমান। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।

২০০৯ সালের টুকু-আলীম কমিটি ঘোষণার পর নরসিংদী অঞ্চলের এক নেতা বিদ্রোহ করলে আমান তার গ্রুপে থেকে বিদ্রোহে অংশ নেয়। দীর্ঘদিন ওই নেতার গ্রুপে ছিলেন তিনি। পরে ২০১২ সালের জুয়েল-হাবিব কমিটিতে তাকে পদ না দেয়ায় বরিশাল অঞ্চলের এক নেতার গ্রুপে যোগ দেন। এই গ্রুপেও বেশিদিন ছিলেন না। আবারও নংরসিংদী অঞ্চলের সেই নেতার গ্রুপে সক্রিয় হন। পরে ২০১৪ সালের রাজিব-আকরাম কমিটিতে তাকে সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রভাবশালী এক নেতার ঘনিষ্ঠও তিনি। আমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধন পাওয়া যায়। মামলার আগ থেকেই তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এখনও তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা যায়। 

ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একজন যুগ্ম সম্পাদক বলেন, আমান ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বলে পরিচয় দেন। বিভিন্ন সময়ে মাজার শরীফকেন্দ্রিক ওরস শরীফে যান আমান। ছাত্রদলের কোনো গ্রুপেই সে স্থির থাকেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা বলেন, একেক সময় একেক জনের সাথে সেলফি তুলে নিজেকে তার অনুসারী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা ছিলো আমানের মধ্যে।

ছাত্রদলের একটি বড় অংশের অভিযোগ যে, আমান মামলা করলেও এই মামলার পেছনে ছাত্রদলের সাবেক কয়েক নেতা ও বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কোনো নেতার ইন্ধন আছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল স্থগিত করা হয়। আমানউল্লাহ আমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান সাথী এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। বিএনপির মহাসচিবসহ ১০ নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ