ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল

সভাপতি পদে আলোচনায় উত্তরবঙ্গের একক প্রার্থী খোকন

আসন্ন কাউন্সিল ঘিরে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে ছাত্রদলে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রায় ২৭ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। উৎসবের আমেজ বইছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থীতা করছেন ৯ জন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন ১৯ জন। কাউন্সিলে সারাদেশে সংগঠনটির ১১৬টি ইউনিটের ৫৬৬ জন ভোটার ভোট দেবেন। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা।

সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের একক প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান খোকন। সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গকে ছাত্রদল দুইটি সাংগঠনিক বিভাগে ভাগ করেছে। রাজশাহী ও রংপুর। রাজশাহীর ১১টি ইউনিটে ভোট আছে ৫২টি। আর রংপুরে ১৩ শাখায় ৬৩টি ভোট। এই ১১৫ ভোট উত্তরবঙ্গের একক প্রার্থী হিসেবে খোকন পাওয়ার আশা করেন। এছাড়া সারাদেশে প্রায় সবকয়টি ইউনিটে প্রচারণা সম্পন্ন করেছেন এই সভাপতি প্রার্থী।

তিনি জানান, কাউন্সিলররা তার বিষয়ে পজেটিভ আছেন। তিনি সবার কাছে দলের প্রতি তার ত্যাগ, পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। কাউন্সিলররা তার প্রতি সন্তুষ্ট জানিয়ে খোকন বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

এদিকে খোকনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. খালেকুজ্জামানও ছেলের পক্ষে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।

বগুড়ার সন্তান খোকন ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করেন। ২০০২ সালে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০৮ সালে অর্নাস এবং ২০১০ সালে মার্স্টাস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত আছেন।

সরকারি চাকরিজীবী বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান খোকন কলেজে ভর্তি হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তৃতা শুনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হন। জেলার শেরপুর কলেজে সংগঠনের সাথে সক্রিয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রথম পদ পান। ২০০৫ সালে ফজলুর রহমান খোকন সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দপ্তর বিষয়ক সহ সম্পাদক পদে মনোনীত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গণশিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক পদ পান।

১/১১ এর আন্দোলন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার স্বদেশে ফেরা ত্বরান্বিত করার কর্মসূচিসহ দলীয় সব কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন খোকন। তার নামে ২৩টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হয়ে আছে।

খোকন জানান, দীর্ঘ ছাত্ররাজনীতির জীবনে ছাত্রলীগের হাতে ক্যাম্পাসে নির্যাতনের শিকার হওয়া ছাড়াও দলীয় কর্মসূচি পালনের সময় গ্রেফতার হয়েছেন তিনবার।

কাউন্সিলের সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলররা ছাত্রদলের নেতৃত্বে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন। ত্যাগ, পরিশ্রম, দলের প্রতি আনুগত্য এবং সংগঠন পরিচালনার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশের মাধ্যমে নিজেকে কাউন্সিলরদের সামনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। ১৪ তারিখ কাউন্সিলরদের রায় আমার পক্ষে আসবে বলে আশা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ