ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল

ভোটের লড়াইয়ে মামুন খান

মামুন খান
মামুন খান  © টিডিসি ফটো

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সংগঠনটির শীর্ষ দুইজন। প্রায় ২৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কাউন্সিল ঘিরে তাই তৃণমূলসহ পুরো সংগঠনে উন্মাদনা বিরাজ করছে। প্রার্থীরা সারাদেশের কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নিজের ত্যাগ, পরিশ্রম আর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ভোট চাচ্ছেন তাদের কাছে।

সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতি পদে রুহুল কবির রিজভীকে সভাপতি এবং গুম হওয়া ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন। এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে লড়বেন ৯ জন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮ জন।

সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আবারো ভোটের মাঠে এসেছেন মোহাম্মদ মামুন বিল্লাহ (মামুন খান)। খসড়া প্রার্থীর তালিকায় নাম থাকার পরও অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় তাকে। পরে অভিযোগ খণ্ডন করে আপিল করে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান।

স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন মামুন খান। তিনি জানান, ওয়ার্ড ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। পরে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। সর্বশেষ তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন মামুন খান।  ২০০৩-২০০৪ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হয়ে অর্নাস-মার্স্টাস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে জাপানিজ স্টাডি ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত আছেন।

মামুন খান জানান, ১/১১ এর আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর রেড এলার্ট ছিলো তার ওপর। ২০১৩-২০১৫ সালে সাংগঠনিক কাজে নিবেদিত ছিলেন। তার ভাষায়, দল থেকে দেয়া সবধরনের কাজ তিনি সম্পন্ন করেছিলেন। 

মামুন খান আরো জানান, মিছিল থেকে আটক এমন ৯ জন নেতাকর্মীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রিজন ভ্যান ভেঙে আসামি ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি তিনি। সেসময় পাঁচদিন তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।

আসল বিএনপির পার্টি অফিস দখল করতে আসাদের প্রতিহতের সময়ও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন মামুন খান। এ পর্যন্ত তিনি দলের জন্য চারবার জেল খেটেছেন।

কাউন্সিলে নিজের অবস্থানের বিষয়ে মামুন খান বলেন,  আমি দল ও দেশের জন্য অধিকতর মজলুম, ত্যাগী ও নিবেদিত ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আপনাদের (কাউন্সিলরদের) সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া চাই। আমি কোনো গ্রুপ ও এলাকার রাজনীতিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শুধু নিজের শ্রম, ঘাম, ত্যাগ, সাহস ও মেধা দিয়ে আজ এই পর্যন্ত এসেছি। সারাদেশের কাউন্সিলরদের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ করছি। আশা করি তারা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ