২ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ কমিটি, অসন্তোষ-কোন্দল

ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের শোডাউন

মেয়াদোত্তীর্ণের প্রায় দুই বছর পরেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগ কমিটি না দেয়ায় অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও কোন্দল। দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রায়শই ঘটছে হাতাহাতি ও সংঘর্ষেও মত ঘটনা। এদিকে নতুন কমিটিতে পদ পেতে আগ্রহী নেতাদের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে বিভিন্ন সময় বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন করতে দেখা গেছে।

গত ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছর মেয়াদী বাকৃবি ছাত্রলীগের কাজী-রুবেল আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ২১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, দীর্ঘদিন কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব না আসায় বর্তমান কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও কোন্দল দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটিতে পদ পাবার আশায় বর্তমান কামিটির ভিতর তৈরি হয়েছে গ্রুপিং। গ্রুপিংয়ের ফলে বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের গ্রুপের সঙ্গে প্রায়ই হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ও শহীদ শামসুল হক হলে ছাত্রলীগের বর্তমান পদধারী ছাত্র নেতাদের সাথে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে এ বছরের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর মার্কেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়।

এদিকে নিজেদের সামর্থ্যকে জানান দিতে নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী একটি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবং হলগুলোর সামনে দিয়ে প্রায় ১৫-২০ টি মোটরসাইকেল দিয়ে নিয়মিত শোডাউন দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী বলেন, ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যারা নেতৃত্বে আসতে চায় তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।

নতুন কমিটিতে নেতৃত্ব প্রত্যাশী এবং বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর এ আলম তপন বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা চাই এই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি দেয়া হোক।


সর্বশেষ সংবাদ