সংঘর্ষে জড়িয়ে বহিষ্কার হলেন ছাত্রলীগের তিন নেতা

  © প্রতীকী ছবি

সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও ভাঙচুরের অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী ছাত্রলীগের তিন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও ভাঙচুরের অভিযোগে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুজন, গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন খলিফা এবং সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন মোল্লা মাহামুদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাগর সরদার সম্রাটের সঙ্গে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়ার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শোকাবহ ১৫ আগস্ট সাগর সমর্থকরা আরিফ সমর্থক কলেজ ছাত্রলীগকর্মী সজল, মিরাজকে মারধর করেন।

এর জেরে রোববার দুপুর ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাসে সাগর সমর্থক ইমনকে মারধর করেন আরিফ সমর্থকরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা ধারাল অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হন। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ।

বরিশালের সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই পথচারীসহ ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মী আহত হন। রোববার দুপুরে সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে আরিফ গ্রুপের সাব্বির হোসেন, রাজু, সজল, জারিফ এবং সাগর গ্রুপের মানিক বেপারী, ইমনের নাম জানা গেছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রলীগকর্মী মানিক বেপারীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ