বিবাহিতরাও পদ চান ছাত্রদলের!

  © ফাইল ফটো

আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের আসন্ন ষষ্ঠ কাউন্সিলে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের কেউই নিজ ইউনিট কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া তৃণমূলে খুব বেশি পরিচিত নন। অথচ তাদের মধ্য থেকেই এবার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন ছাত্রদলের।

দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এ কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। অবশ্য পরিচিতি বাড়াতে পদপ্রত্যাশীরা তৃণমূলে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া নিজস্ব এলাকাতন্ত্র এবং লবিংয়েও জোর দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ১১০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন বিবাহিত নেতাও এ পদ পেতে চান।

কারা হচ্ছেন ছাত্রদলের কাণ্ডারি, নজর বাছাইপর্বে

গত শনি ও রোববার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের করেছেন ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশীরা। গতকাল সোমবার প্রথম দিনে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যরা আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। 

এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী শীর্ষ দুটি পদে লড়তে হলে প্রার্থীদের অবিবাহিত হওয়াসহ যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তাতে শঙ্কায় পড়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক অনেকেই। এছাড়া ২০০০ সালের আগে এসএসসি পাস করেছেন এমন কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না এমন শর্তের সাথে এসএসসির রেজিস্ট্রেশন ১৯৯৮ সালের আগে নয়, এমন শর্ত যোগ করেছেন কাউন্সিলের আয়োজকরা।

ফলে ছাত্রদলের কাণ্ডারি হতে ভোটযুদ্ধে শামিল হওয়ার আগে বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে বাছাইপর্ব পার হওয়াও। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১১০ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৬ জন রয়েছেন। এরমধ্যে অনেকেই বিবাহিত বলে অভিযোগ উঠেছে।

আপিল কমিটির প্রধান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেছেন, ‘এবার দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একটি ছাত্রত্ব, অন্যটি অবিবাহিত। বাছাই কমিটি দুটি বিষয়ে কাগজপত্র চাইবে।’

পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২২-২৬ আগস্ট যাচাই-বাছাই শেষে ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটের জন্য প্রচার চালাতে পারবেন।

নির্বাচন পরিচালনার জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।