রাব্বানীর স্ট্যাটাস: সংস্কার সেই রাস্তা, স্বস্তিতে কোমলমতিরা

দূরত্ব ক’ হাতই বা হবে! সর্বোচ্চ ২০। অথচ এই টুকু রাস্তার জন্য দিনের পর দিন ভিজে স্কুলে যাচ্ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সর্বশেষ খবর হলো রাস্তাটি সংস্কার হয়েছে। কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই স্কুলে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।

সংস্কার পরবর্তী তথ্য জানিয়ে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, ‌'গত শনিবার কিশোরগঞ্জ, নিকলী উপজেলার পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডুবন্ত রাস্তার ছবি দিয়েছিলাম। স্রেফ সংস্কারের অভাবে রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যেতে পারছিলো না কোমলপ্রাণ শিশুরা, বিঘ্নিত হচ্ছিল তাদের লেখাপড়া।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌফিকুল হাসান সাগর ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সুমনের তত্বাবধানে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ সশরীর উপস্থিত থেকে রাস্তার দুইপাশের পুকুরের পানি নিষ্কাশন করে রাস্তাটা সংস্কার করেছে। এখন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের আর কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

স্থানীয় এমপি আফজাল ভাই সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং রাস্তাটি স্থায়ী সংস্কারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।'

জানা যায়, যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ছিল ওই স্কুলটির। উপজেলা পরিষদ থেকে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগকেন্দ্র হয়ে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে নিকলী পুরাতন বাজার ও থানার সঙ্গে সংযুক্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য মাত্র ২৬০ মিটার। ২০১৬ সালে এলজিইডি-হিলিপ প্রকল্পের অধীনে পরীক্ষামূলক এ সড়ক ব্লক পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হয়। প্রথম থেকেই ভাঙন শুরু হলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ভাঙা সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন এলাকাবাসী ও পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিশুসহ স্কুল-কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে ভারী বৃষ্টিতে সড়কের কয়েক জায়গা ভেঙে যায়। এতে বিদ্যালয়ের পাশে প্রায় ২২ মিটার সড়ক ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কের দু'পাশে পুকুর হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের অংশটি পানিতে তলিয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ