আট বছরেও কমিটি পায়নি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ

  © ফাইল ফটো

শিক্ষা,শান্তি, প্রগতির পতাকাবাহী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের ভ্রাতৃপ্রতিম এই ছাত্রসংগঠনটি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ছাত্রসংগঠনও এটি।

সারা দেশেই যখন ছাত্রলীগের একক আধিপত্য তখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যেন অন্ধকারেই ডুবে আছে। কেননা প্রতিষ্ঠার আট বছরেও ছাত্রলীগের কমিটির মুখ এখনো দেখেনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁরা যেন পালতোলা মাঝিবিহীন নৌকা। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম হতাশা।

কিছুদিন আগে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সস্পাদক ও ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী এক সাংগঠিক সফরে ববিতে এলে আবারো আশার সঞ্চার হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা আবারো স্বপ্ন দেখছে কমিটির বিষয়ে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ সিফাত বলেন, ‘আট বছর ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে তাদের একটা ইউনিট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং এরপর থেকেই ক্যাম্পাস বা জাতীয় সকল ইস্যুতে ছাত্রলীগ তাদের ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে ববি ছাত্রলীগ। তারপরও দুঃখের বিষয় ছাত্রলীগ তাদের কোন সাংগঠনিক কাঠামো পায়নি। যেখানে নামমাত্র সক্রিয়তা না থেকেও ক্যাম্পাসে অন্য সকল ছাত্র সংগঠনের কমিটি আছে, সেখানে এত বছর পরেও ছাত্রলীগের কমিটি নেই এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। ভবিষ্যতে আমাদের সাংগঠনিক গতিশীলতা অব্যাহত রাখার জন্য এখন কমিটির কোন বিকল্প নেই।’

ছাত্রলীগ নেতা আলীম সালেহী বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এর আগে দুইবার সম্মেলন হলেও কমিটি হয়নি । জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অচিরেই কমিটি দিয়ে আমাদেরকে সাংগঠনিকভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মের অংশীদার হবার সুযোগ দেবে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী গত ১৭ জুন ববিতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে এসে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১১১তম সাংগঠনিক ইউনিট হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

জানা যায়, তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক সূর্য বিজয়ী স্বাধীনতাপ্রেমী তারুণ্যের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১ বছরের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ