৮০০ হাঁস হারানো সেই কাশেমের বাড়িতে ছাত্রলীগ

কাশেমের পাশে ছাত্রলীগ
কাশেমের পাশে ছাত্রলীগ  © গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক থেকে

দুস্কৃতকারী কর্তৃক হাঁস হারানো সেই আবুল কাশেমের পাশে দাঁড়াতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগের দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন শাখা। সোমবার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক পোস্ট করার পর থেকেই কাশেমের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের অনেকে। টাকা পাঠাচ্ছেন বিকাশ কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও।

মাইমুন উদ্দিন মামুন লিখেছেন, ‘আমি ১০ টা হাঁসের দায়িত্ব নিলাম।’ ছাত্রলীগের চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখায় কাজ করেন তিনি। মাইনুল ইসলাম লিখন লিখেছেন, ‘আমি বুটেক্স ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ৫০ হাঁসের দ্বায়িত্ব নিচ্ছি।’ ১০০ হাঁসের দায়িত্ব নিয়েছে ইটালি শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন শাখা এই সহায়তা করছেন।

বিষয়টির আপডেট জানিয়ে মঙ্গলবার আরেকটি পোস্ট করেছেন ছাত্রলীগ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী কাশেম ভাইয়ের জন্য ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে তার বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে কিছু হাঁস কিনে দেয়ার উদাত্ত আহবানে সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি; তাতে আমি সত্যি আশান্বিত। আমরা এক হলে সব পারি! মানুষ মানুষের জন্য ; জীবন জীবনের জন্য।’

সাহায্যের জন্য যোগাযোগ: আবুল কাশেম: ০১৭৯৪-০৭৩০৮৩
#বিকাশ একাউন্টঃ ০১৯০৬-৯৩৮৭৪৩ (পারসোনাল) #একাউন্ট নাম্বার- ০২০০০১২৮৩৬০৮৭
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, কেন্দুয়া শাখা, নেত্রকোনা।
বিঃ দ্রঃ কাশেম ভাইয়ের সাথে সরাসরি দেখা করে বা কথা বলে যে কেউ বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তাকে হেল্প করতে পারেন।’

জানা যায়, বিষ প্রয়োগ করে দুই খামার মালিকের ৮ শতাধিক হাঁস মেরে ফেলেছে দুস্কৃতকারীরা। সম্প্রতি কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামে। এ ঘটনায় খামার মালিক আবুল কাশেম ও আবুল হাসেম রীতিমতো পথে বসে যান।

জানা গেছে, ছবিলা গ্রামের আবুল কাশেম ও আবুল হাসেম যৌথভাবে একটি হাঁসের খামার পরিচালনা করে আসছিলেন। রবিবার সকাল সাতটার দিকে তারা প্রতিদিনের মতো খামার থেকে হাঁস বের করে হাওড়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমে বাড়ির কাছেই একটি একটি ধান ক্ষেতের পানিতে নিয়ে হাঁসগুলো ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এক একটা করে হাঁস অসুস্থ হতে থাকে। এভাবে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই খামারের ৮ শতাধিক হাঁস মারা যায়।

ঘটনার পর খামারের মালিক আবুল কাশেম জানান, তিনি খুব কষ্ট করে দুই লাখ টাকা ঋণ করে এবং ভাতিজা আবুল হাসেমকে অর্ধেক শেয়ারে নিয়ে হাঁসের খামারটি করেছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বক্তব্য, হাঁসগুলোর মৃত্যুতে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কি করে যে ঋণ পরিশোধ করবেন এই নিয়ে এখন দিশেহারা।

তবে ছাত্রলীগ পাশে থাকায় দিশা দিশা খুঁজে পেয়েছেন সেই আবুশ কাশেম।