বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বাদশ আসরের আয়োজন

  © সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ওয়াল্ডকাপ ২০১৯ এবারের আসর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এ আসরটি হবে দ্বাদশ আয়োজন।

এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ প্রতিযোগিতাটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৫ম বারের মতো হতে যাচ্ছে। ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতায় মার্চ ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০টি দলের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছিল।

এবারের আসরে অংশনেয়া ক্রিকেট ওয়াল্ড র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশ (টপটেন) দেশের সমন্বয় করা হয়েছে। যেমন ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান পয়েন্ট টেবিলে প্রথম থেকে শেষের দিকের দল গুলোকে সাজানো হয়।

এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের ১৪ দলের অংশগ্রহণের পরিবর্তে এ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা করা হয়েছে ১০টি। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ মোতাবেক আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন বলে বিবেচিত হয়। অন্য দুই দলের অন্তর্ভূক্তির জন্য ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩০ মে থেকে ১৫ জুলাইয়ের ক্রিকেট বিশ্বকাপ: ব্যবস্থাপক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ধরন রাউন্ড-রবিন ও নক-আউট। আয়োজক ইংল্যান্ড, ওয়েলস। এ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশ সংখ্যা ১০টি। খেলার সংখ্যা ৪৮ ম্যাচ।

এ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আয়োজনে ভেন্যুর সংখ্যা ১১টি। যথাক্রমে চেস্টার-লি-স্ট্রিট, লিডস, ম্যানচেস্টার, নটিংহাম, বার্মিংহাম, কার্ডিফ, ব্রিস্টল, লর্ডস, দি ওভাল, টানটন, সাউদাম্পটনে ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে এপ্রিল ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসকে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের নিলাম প্রক্রিয়া থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহারের ফলে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজন করেছিলো। তবে এবারের আসরের আয়োজনে প্রথম ম্যাচটি ইংল্যান্ডের ওভালে ও চূড়ান্ত খেলাটি ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ সালের পর পঞ্চমবারের মতো লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী দশ একজন আরেকজনের বিপক্ষে একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবে। প্রত্যেক দলই সর্বমোট নয়টি ম্যাচে অংশ নিবে। গ্রুপের শীর্ষ চার দল নক-আউট পর্বে উপনীত হবে। এরপর নক-আউটে তাদের মাঝে সেমি-ফাইনাল ও পরবর্তী চূড়ান্ত বিজয়ী দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। এর আগে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করেছে। এ নিয়ে অজি শিবিরে সর্বমোট ৫বার আইসিসি শিরোপা যুক্ত হয়েছে।

এদিকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আক্রমণের পর ভারতীয় সামরিকবাহিনী পাকিস্তানী জঙ্গীবাদীদের বিপক্ষে আক্রমণ চালায়। এরপর বেশ কয়েকজন সাবেক ভারতীয় খেলোয়াড় ও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান খেলা আয়োজন না করাসহ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা থেকে পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞা প্রদানে প্রচারণা চালায়।

তবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি পাকিস্তানের বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনা নাকচ করে দেয়। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা থাকা স্বত্ত্বেও পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক খেলা আয়োজনের কথা জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ