স্কলাস্টিকা স্কুলে ছুটি ঘোষণা

রাজধানীর স্কলাস্টিকা স্কুলে ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে মেইল পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৫ মার্চ) পাঠানো স্কুলের পক্ষ থেকে এটিকে বসন্তকালীন ছুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের দাবি উঠলেও সরকারের তরফ থেকে এখনো তেমন কোনো ঘোষণা আসেনি। এর মধ্যে রোববার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এসময় তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে না বন্ধ রাখবে তা পুরোটাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। পরামর্শ যতটুকু দেয়ার আমরা দিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আমরা নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছি। এজন্য দুই মাস ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কারো ওপরে চাপিয়ে দিতে পারি না। আমরা পরামর্শ দিয়ে সবাইকেই চিঠি দিয়েছি। এর থেকে বেশি কিছু আমরা করতে পারি না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চীন থেকে গোটা বিশ্বে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে যাওয়া নোভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শিক্ষাব্যবস্থা বড় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত  পাঁচ হাজারের মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১২৩ দেশে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৪২ হাজার।

করোনাভাইরাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বড় জনসমাগমের জায়গা হওয়ায় এতে তার প্রভাব পড়েছে। ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেসকো) জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৬১ দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয়ভাবে বন্ধ করা হয়েছে ৩৯টি দেশে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৪২ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬২ জন শিক্ষার্থীর।

আর আঞ্চলিকভাবে আংশিক বন্ধ করা হয়েছে ২২টি দেশে। এসব দেশে ৬৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৭ জন শিক্ষার্থী ঝুঁকিতে রয়েছে। সবমিলিয়ে পুরোপুরি ও আংশিক বন্ধ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ১০৮ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৯ জন শিক্ষার্থী ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মনে করছে সরকার। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় কিছু নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, মাঠে সমাবেশ না করা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ অন্য অনুষ্ঠান সীমিত করা ইত্যাদি। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরামর্শ অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।