প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে পেটানোর ভিডিও, শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কাইলে রয়েছে লেম্যান হাই স্কুল। সেখানেই ১৬ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে অমানসিকভাবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেই স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষিকার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রীকে মারধরে অভিযুক্ত অস্থায়ী শিক্ষিকার নাম টিফানি শ্যাডেল ল্যাঙ্কফোর্ড। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রীর মুখে ঘুষি মারছেন ওই শিক্ষিকা। মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেস। এরপরও মারতে থাকেন ওই শিক্ষিকা।

এ ঘটনার পর কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, এ ধরনের স্কুলের মধ্যে হিংসাত্মক আচরণ মেনে নেওয়া হবে না। ল্যাঙ্কফোর্ডকে স্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ল্যাঙ্কফোর্ডকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগেও ল্যাঙ্কফোর্ড বাড়িতে সহিংসতা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বলেও জানানো হয়েছে পুলিশকে।

যদিও বিশেষ ওই ছাত্রীকে কেন সেই শিক্ষিকা মারলেন, সে ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ঘটনার সময় ওই ক্লাসে থাকা একজন ছাত্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে বলেছেন, কোনো জোকস শুনে আমি ও আমার বন্ধুরা হাসছিলাম। তা দেখেই রেগে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা।


সর্বশেষ সংবাদ