১৬ বছর ধরে ক্লাস না করেও বেতন নিচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক

  © ফাইল ফটো

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কোলচরী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মোশারফ হোসেন তালুকদার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মাদরাসায় ক্লাস না করেও বেতন তুলে নিচ্ছেন। ওই শিক্ষক বরিশালে গ্যাসের ব্যবসা করে আসছেন বলে জানা যায়। তিনি মাঝে মধ্যে মাদরাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে মাদরাসা সুপার মাওলানা ফোরকান আহমেদকে ম্যানেজ করে চলে যান। চোখের সামনে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, মোশাররফ হোসেন তালুকদার ২০০৩ সালের মার্চ মাসে কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কোলচরী দাখিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর কয়েকদিন ক্লাস করে মাদরাসা সুপার মাওলানা ফোরকান আহমেদকে ম্যানেজ করে বরিশাল গিয়ে গ্যাসের ব্যবসা শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত মাদরাসায় ক্লাস না করে মাসে মাসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন তুলে আবার চলে যান।

তার এ বিষয়টি সাবেক এবং বর্তমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত আছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা এখনো বিষয়টি গোপন রেখে তার বেতন সিটে নিয়মিত স্বাক্ষর করে বেতন তুলতে সহায়তা করছেন।

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার পরিবর্তে অন্য এক লোককে দিয়ে ক্লাস করাই। বেতন আমি তুলে তাকে দিয়ে দিই। এরপর মোশাররফ ফোন অফ করে রাখেন।

মাদরাসার সহকারী সুপার মো. আবদুল মান্নান বলেন, এ বিষয় আমি পরে কথা বলব।

মাদরাসা সুপার মাওলানা ফোরকান আহমেদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলেন, আমি পরে কথা বলব এবং এ কথা বলেই তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন।

কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শিক্ষক মোশারফ হোসেন অনিয়ম করায় তার বিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । পরে সে মাদরাসা সুপারের কাছে আবেদন করায় পরে বিল ছেড়ে দেওয়া হয়। সে আর অনিয়ম করবে না বলে মাদরাসা সুপারের কাছে লিখিত দেন। তবে অনিয়মের তথ্য সঠিক হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানাবো।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে অভিযোগ এলে এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।


সর্বশেষ সংবাদ