জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত সামিউলের

  © টিডিসি ফটো

অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে নাটোরের লালপুরের মেধাবী ছাত্র সামিউল ইসলাম শান্তর (১৬)। সে এবার লালপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রেখেছে কৃতিত্বের ছাপ। গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সামিউল। এর আগে মেধাবী সামিউল পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।

সামিউলের বাবা আব্দুল ওহাব বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত। অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসাও করাতে পারেননা। অসুখের জন্য তিনি ঠিকমতো কাজ করতে পারেননা।

আব্দুল ওহাব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি অনেক গরীব। ছেলেকে অনেক কষ্টে এতদূর পর্যন্ত পড়ালেখা করাইছি। কিন্তু এখন হয়তো আর সম্ভব হবে না। একজন বাবার কাছে এর থেকে বড় কষ্টের আর কি হতে পারে? তিনি আরও বলেন, নাটোরের পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক সহ অনেকের কাছেই সাহয্যের জন্য গিয়েছি। সবাই শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কেউ সাহায্য করেননি। আমি সমাজের বিত্তবানদের নিকট আমার ছেলেকে লেখাপড়া করানোর সাহায্যের আবেদন করছি।

সামিউল বলেন, আমি জানি আমার বাবার অনেক কষ্ট হয় আমাকে পড়ালেখা করাতে। আমার বাবার স্বপ্ন আমাকে প্রশাসনে চাকরি করা দেখবে। তার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই। কিন্তু টাকার অভাবে তা আর হয়তো হয়ে উঠবেনা।

শান্ত আরও বলেন, স্যাররা ক্লাসে সব সময় বলতেন অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে, পাঠ্য বইয়েও পড়েছি মানুষের বিপদে মানুষকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। অথচ আমাদের সহযোগিতায় এখনো কেউ এগিয়ে আসলো না। আমার নিজের জন্য কষ্ট কম হয়, বাবার জন্য কষ্ট বেশি লাগে কারণ স্বপ্নটা আমার বাবার।

সাহায্য পাঠানের ঠিকানা
নাম মো. সামিউল ইসলাম শান্ত
পিতা-মো. আব্দুল ওহাব
গ্রাম-গোয়ালপাড়া, পোষ্ট-গোপালপুর,
থানা-লালপুর, জেলা-নাটোর।

সামিউলের বাবার নাম্বার: ০১৭৭৩৯৪৮১২৮ (বিকাশ)


এছাড়া আমাদের মাধ্যমেও তার কাছে সাহায্য পাঠাতে পারেন-

মোবাইল নাম্বার: ০১৭৮৫৭১৬২৭৮ (অফিস)


সর্বশেষ সংবাদ