মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার কমছেই না, মেয়েদের সংখ্যা বেশি

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতের প্রেক্ষাপটে অনেক সময় প্রাথমিক থেকে শুরু করে একজন শিক্ষার্থী ছেলে কিংবা মেয়ের উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পৌঁছাতে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যার কারণে ঝরে পড়ার হারটা কমছে না। বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজে এ সংখ্যাটা বেশি। আবার এ সংখ্যাটায় ছেলেদের তুলনা মেয়েরা এগিয়ে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মাধ্যমিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তথ্য তুলে ধরেন।

চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গতবছর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর প্রাথমিক স্তরে এই হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও দেশে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে।

পরিসংখ্যান

মন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রথম দিকে ঝরে পড়ার হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ব্যবধান বেশি থাকলেও ক্রমান্বয়ে এ ব্যবধান কমেছে। ২০০৯ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৪২ দশমিক ১৫ শতাংশ, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর ২০১৮ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার হয়েছে ৩৬ দশমিক ০১ শতাংশ; মেয়েদের ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ।

চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এই স্তরে ঝরে পড়ার হার ছিল ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। দারিদ্র, অভিভাবকের অসচেতনতা, শিশুশ্রম, অশিক্ষা, বাল্য বিবাহ ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ