ক্লাসে নয়, স্কুলেই মোবাইল ফোন আনা যাবে না

স্কুল-কলেজের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আগেই ছিল। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক আদেশে জানিয়েছিল, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন বা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এতে শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণির কার্যক্রমে মনোযোগী হতে পারছে না। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।’ মূলত এ কারণেই মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হলো।

তবে ফোন নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে আসলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা। ক্লাসে নয়, স্কুলেই যেন শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন না আনে, সেজন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন তিনি। শুধু তাই, বিষয়টি বাস্তবায়নে শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছেন ডিসি নাহার। মঙ্গলবার জেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় সভপতির বক্তব্যে ডিসি কামরুন নাহার সিদ্দীকা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল ও কুফল রয়েছে। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা খারাপ দিক ব্যবহারে যাতে উৎসাহী না হয় সে জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। কারণ এ তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। তাদের তথ্যপ্রযুক্তির প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন- জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং অপরাধ দমনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রমজান মাসে জেলার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

সভায় সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ রমজান ও ঈদে অপরাধ খুবই কম হওয়া এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়রম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক হেলাল আহমেদসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সভায় বক্তব্য রাখেন।


সর্বশেষ সংবাদ