বরিশাল

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ বাক্স স্থাপনের নির্দেশ

বরিশালে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান
বরিশালে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান   © সংগৃহীত

বরিশালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ বাক্স স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে এক বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এ নির্দেশনা দেন। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

অভিযোগ বাক্স যেন সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হয় সে জন্য প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাক্সটির চাবি ও খোলার সময় একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, শাসনের ছুতোয় কোনো ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়া যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে ঘনঘন সভা করা, কোচিং সেন্টার ও নোটবুক বন্ধের জন্য সভায় নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক এনামুল হক ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করলে ছাত্রীদের অভিযোগ নিতে বিলম্ব করে প্রতিষ্ঠান প্রধান। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশ ঐ শিক্ষককে আটক করলে টনক নড়ে সকলের। পুলিশ আটকে পর পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষককে বরখাস্ত ও ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে। ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামান নিকট অশালীন আচরণের বিষয়টি জানালেও তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগমকে জানাতে বলেন। নাজমা বেগম অভিযোগ লিখিত আকারে চান ছাত্রীদের নিকট। এরপর লিখিত আবেদন দেয়া হলেও তা যথাযথ ভাবে হয়নি বলে ছাত্রীদের জানিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে তারা পুলিশের আশ্রয় গ্রহণ করে।

বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ ও নারী শিক্ষায় নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করলেও এ বিদ্যালয়ে তাদের মেয়েদের পড়াতে ব্যয় হয় মোটা অংকের টাকা। ম্যানেজিং কমিটির নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে নানান ভাউচার দেখিয়ে এ টাকা আদায় করা হলেও শিক্ষার মান বাড়ছে না। ভালো ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়ের কোচিংসহ নানান খরচ যোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। এরপর এ ধরনের আপত্তিকর ঘটনায় দিনের পর দিন পার হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ