পড়ার খরচ চালাতে ইট-বালুর গোলাতে বাদলের সংগ্রাম

বাদল মোল্লা শান্ত
বাদল মোল্লা শান্ত  © সংগৃহীত

পুরো সপ্তাহ জুড়ে তার কোনো ছুটি নেই তার। সপ্তাহের ছয় দিন যায় বিদ্যালয়ে বাকি একদিন ছুটিতে থাকে সে। ওই একদিন যায় ইট-বালুর গোলাতে। কারণ, সেখানে কাজ না করলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে তার। পড়াশোনার খরচ চালাতে কাজে নেমেছে সে। রোদ্রজ্বল কৈশোরে যাদের মাঠে গিয়ে খেলাধুলায় থাকার কথা, সেখানে বাদল মাটি পুড়িয়ে চলছে।

তার পুরো নাম বাদল মোল্লা শান্ত। সে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাজী আরিফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।

বাদলের বোন আর মাকে নিয়ে তাদের ছোট্ট পরিবার। অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজের ছুটির দিনকে বিসর্জন দিচ্ছে বাদল। অন্যদের মতো ছুটির দিনটায় অবসর পায় না সে। ছুটির দিনে অনেক শিশু-কিশোর বেড়াতে গেলে কিংবা খেলাধুলা করলেও বাদলের গল্পটা তেমন নয়। সমাজের এ ভিন্ন অনেক বড় হতে চায়।

বাদল জানায়, শুক্রবার ইট-বালুর গোলায় কাজ করে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। এ দিয়েই চালাতে হয় সপ্তাহের খরচ। ছোট বোন সুরাইয়া হাজী আরিফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

তিনি বলেন, আমি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন একজন মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি। এটাই আমার স্বপ্ন।

এছাড়া বাদলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে তার মাও। বাদলের মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের লেখাপড়া করার খুব ইচ্ছা। তার অনেক বড় স্বপ্ন। কিন্তু আমি লেখাপড়া খরচ তেমন দিতে পারি না। নিজে কাজ করে পড়ালেখার খরচ চালায়। দোয়া করবেন বাদল যেন তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ