ঢাবি শিক্ষকদের বঙ্গবন্ধু ওভারসিস স্কলারশিপের জন্য আবেদন আহবান

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার্থে ‘বঙ্গবন্ধু ওভারসিস স্কলারশিপে’ দরখাস্ত আহবান করা হয়েছে। রবিবার থেকে (১৯ জুলাই) অনলাইনে এই লিংকের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে পূরণকৃত দরখাস্তের প্রিন্ট কপি বিভাগীয় চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক-এর মাধ্যমে কাভার লেটারসহ রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আগামী ১৯ আগস্টের তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু ওভারসিস স্কলারশিপ’-এর আবেদনের নীতিমালা

১) এই বৃত্তির আওতাধীন থাকবে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার দেশসমূহের বিশ্ববিদ্যালয়/উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

২) এই বৃত্তি শুধুমাত্র নিম্নোক্ত শর্ত পূরণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে-

(ক) বৃত্তি প্রদানের তারিখে প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছরের উর্ধ্বে হবে না।
(খ) বৃত্তি প্রদানের তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনকারীর চাকুরিকাল অন্যূন ২ বছর পূর্ণ হতে হবে।
(গ) এই বৃত্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচনে প্রার্থীর মেধা, প্রকাশনা, চাকুরিকাল এবং বর্তমান নিযুক্তির প্রকৃতি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে।
(ঘ) প্রার্থীকে অবশ্যই বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রমাণ হিসেবে যথাযথ ভর্তির কাগজপত্র দরখাস্তের সাথে জমা দিতে হবে। যে সকল আবেদনকারী নিজ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান থেকে টিউশন ফি মওকুফ/হ্রাসের অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা লাভে সমর্থ হবেন এবং যে সকল আবেদনকারী এ বৃত্তির অধীনে তুলনামূলকভাবে কম অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সমর্থ হবেন, বৃত্তি প্রদানের সময় সে সকল প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(ঙ) প্রার্থী বাংলাদেশের কোনো বিষয়/সমস্যা নিয়ে কাজ করলে এবং গবেষণা ক্ষেত্র বাংলাদেশে হলে তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া গবেষণা এস.ডি.জি সম্পর্কিত হলে প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন।

৩) ইতোমধ্যে যে সকল শিক্ষক বিদেশ থেকে অন্য কোন বৃত্তি/প্রোগ্রামে মাস্টার্স ডিগ্রি অথবা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

৪) এই বৃত্তি প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অগ্রগতির সন্তোষজনক রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে বৃত্তি নবায়ন করা যাবে।

৫) এই বৃত্তি পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ চার বছর প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। 

৬) কোন নন-ডিগ্রি প্রোগ্রাম/শর্ট কোর্স/ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে এই বৃত্তি প্রযোজ্য হবে না।

৭) বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা এই বৃত্তি গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৮) অসম্পূর্ণ/ ভুল তথ্য সম্বলিত আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

৯) আবেদনপত্রে দুইজন গ্রহণযোগ্য গ্যারান্টরের পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ স্বাক্ষরযুক্ত নির্ধারিত ফর্মে গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

১০) কেউ যদি গবেষণা শেষে দেশে ফেরত না আসে তবে তাঁকে অথবা গ্যারান্টরকে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে হবে।

১১) বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অনুষদ কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিবেচিত হবে তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরকারী মান সম্মত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

১২) জীবন যাপনের জন্য Commonwealth / Monbusho/Endeavour বৃত্তির সমতুল্য আর্থিক সুবিধা এক্ষেত্রে  বিবেচিত হবে। বৃত্তি প্রাপ্তরা স্বাস্থ্য বীমা এবং যেসব ক্ষেত্রে টিউশন ফি’র পরিবর্তে সেমিস্টার ফি প্রযোজ্য সেসব ক্ষেত্রে সেমিস্টার ফি’র জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রাপ্ত হবেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য একবার যাতায়াত খরচসহ অর্থ প্রাপ্ত হবেন।

১৩) জাপান, চীন, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকাসহ পৃথিবীর স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে অফার লেটার প্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দকে বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ