ভাড়া নিয়ে সমস্যা সমাধানে অনলাইনে সুপারিশ নিতে বলল জবি প্রশাসন!

  © ফাইল ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দেশের একমাত্র অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই মেস বা বাসা ভাড়া করে থাকেন। অধিকাংশের খরচ চলে টিউশনি বা পার্টটাইম জব করে। এর মাধ্যমে আয় করা অর্থ দিয়ে অনেকে নিজের পরিবারের খরচও চালান।

তবে বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর টিউশনি বা জব না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় যারা বাসা বা মেস ভাড়া নিয়ে সমস্যায় আছেন, সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে সুপারিশ নিতে নোটিশ দিয়েছে জবি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করোনা সংকটের কারণে গত কয়েক মাসের বাসা ভাড়া নিয়ে অনেকেই সমস্যায় রয়েছেন। অনেক মালিক তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। অনেকে দুই বা তিন মাস বাসা ভাড়া দেওয়ার পরও বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে শুরু থেকেই সমাধান চেয়ে আসছেন।

তবে এখনও কার্যকর সমাধান না পেলেও উল্টো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, জবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পড়ে নামমাত্র এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বানিয়েছিল। এর দীর্ঘ সময় পর সোমবার (১৩ জুলাই) ছাত্র কল্যান দপ্তর থেকে পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল বাকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি আসে।

সেখানে বলা হয়েছে, জবির যে সকল শিক্ষার্থী বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য বাড়ি মালিকদের কাছে জবি কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ আবেদন করতে চায়, তারা (https://jnu.ac.bd/dsw/) ওয়েবসাইটে নিজের আইডি নম্বর ও বাসা নম্বর দেওয়ার পর সুপারিশপত্র গ্রহণ করতে পারবে।

এ ব্যাপারে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্র এবং ব্যাচ প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ আসলেই হতাশাজনক। যেখানে অনেক বাড়িওয়ালা ২/৩ মাস বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পরেও অনেককেই বাসা থেকে বের করে দিয়েছে, সেখানে পুরান ঢাকার মানুষ তাদের অনুরোধ কতটুকু রক্ষা করবে তা দেখার বিষয়। এসব উদ্যোগ শুধুমাত্র কালক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু না।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের উচিত ছাত্রনেতাদের পেশকৃত দাবি অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ইতোমধ্যে প্রশাসন আবার অনলাইন ক্লাস শুরু করেছেন, যা একরকম মরার উপরে খাড়ার ঘা। যেখানে অনেকেই তাদের বাসা ভাড়া দিতে পারছে না, তারমধ্যে ইন্টারনেট কিনে ক্লাসে এটেন্ড করা লাগছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আর কালক্ষেপণ না করে বাসা ভাড়া সমস্যা সমাধানসহ সকল শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট সরবারহ করা, যাতে তারা সবাই ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

উল্লেখ্য, জবি ছাত্র আরিফ তিন মাস বাসা ভাড়া দেওয়ার পরও চলতি মাসে বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।