টিউশন বাঁচাতে হলে ফিরছে শিক্ষার্থীরা, বিপাকে প্রশাসন

‘নিজের পড়ালেখার খরচসহ পরিবারের খরচ চালাই টিউশন করিয়ে। করোনার কারণে প্রায় দুমাস টিউশন বন্ধ ছিলো কিন্তু এখন শিক্ষার্থীর অভিভাবক চাপ দিচ্ছেন টিউশন শুরু করতে। এমনকি আমি পড়ানো শুরু না করলে নতুন কাউকে টিউশনটা দিয়ে দেয়ার কথাও বলেছেন। তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোপালগঞ্জে ফিরেছি।’— দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে এভাবেই নিজের অবস্থা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

শুধু ওই শিক্ষার্থীই নয় সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীই টিউশন রক্ষা করতে গোপালগঞ্জে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলসমূহে বসবাসকারী এসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে হল প্রশাসনগুলো।

স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি আমার হলে দুজন শিক্ষার্থী এসেছিলেন। তারা উভয়ই টিউশন রক্ষা করতে গোপালগঞ্জে বাধ্য হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করলে তাদের জন্য কষ্ট হয় কিন্তু সরকারি নির্দেশনা রয়েছে হল বন্ধ রাখার। তাই তাদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আশি করি, গোপালগঞ্জের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বর্তমান সংকটের বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিজয় দিবস হলে একজন শিক্ষার্থী এসেছিলো কিন্তু হল বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকায় তাকে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারিনি।’

এসময় সকলের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের অবশ্যই বর্তমান সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আর আমাদের শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে আমরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তাদেরকে হলে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারবো না।’

একই অবস্থা উল্লেখ করে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদেরও সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর অভিভাবকদের বোঝা উচিত এই মুহুর্তে টিউশন শুরু করলে শুধু আমাদের শিক্ষার্থীরাই নয়, তাদের পরিবারও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।’

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বশেমুরবিপ্রবির হলসমূহ বন্ধ রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ