ফেল করা ৪৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের দাবি

  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সম্মান (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠা ৪৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ না করেও প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতায় অবৈধভাবে পোষ্য কোটায় ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে আমরা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে গবেষণায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি সেই বিদ্যাপীঠে এমন অযোগ্য শিক্ষার্থীদের কোন স্থান দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হলে এসব অবৈধ কর্মকান্ড পরিহার করে ভর্তি পরীক্ষার মান স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামুলক ও যুগোপযোগী করার আহ্বান জানান তারা।

এসময় ৫ দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অকৃতকার্য ৪৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন শুধু মনিটরিংয়ের ভূমিকা পালন এবং শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রশাসনের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। ভর্তি পরীক্ষায় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা। কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী শূন্য আসন পূরণ করা। দাবিসমূহ মানা হয়েছে এই মর্মে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে লিখিত আকারে জানিয়ে দেয়া। মানববন্ধন শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরারব স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মুর্শিদুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মহিউদ্দীন মানিক, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ খান, যুগ্ম সম্পাদক, রেজাউল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক, হেলাল উদ্দীন, মাহমুদ শাকী, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ