পায়ে হেটে দু’দিনে ঢাকায় পৌঁছেছিলাম: অর্থমন্ত্রী

  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী শিক্ষাজীবনের অর্থনৈতিক টানাপোড়ন থেকে শুরু করে চার্টাড একাউন্ট্যান্টস, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি ও সর্বশেষ রাজনৈতিক জীবনের গল্প শোনান।

তিনি বলেন, ‘ ইন্টারমিডিয়েট এর পূর্বে আমার তিনবার অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা ও দোয়াই আমাকে আজকের অবস্থানে এনেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার মতো পরিবহন খরচও আমার হাতে ছিল না। কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার জন্য মাত্র দুটি স্টেশন আসার টাকা ছিলো। পরে হেটে ও বিভিন্ন ভাবে দুইদিনে ঢাকায় পৌছায়।’

এছাড়াও চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে থাকাকালীন ছাত্র রাজনীতি, অডিট ফার্মের ব্যবসা, আবাহনী ক্রিকেট দলের দায়িত্ব গ্রহন, সেখান থেকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে বিসিবি ও আইসিসির সভাপতি দায়িত্বকালীন অভিজ্ঞতার কথা শোনান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। তবে তিনি আমাদের জন্য সবকিছু গুছিয়ে রেখে গেছেন। আমাদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, কোন পথে গেলে আমাদের এগোনো সহজ হবে। তিনি আমাদের জন্য সেভাবেই অর্থনীতিতে সফলতার পরিকল্পনা তৈরি করে গেছেন।’

আইসিসি’র এই সাবেক সভাপতি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে দেশে ফিরে একটি বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। তিনি পরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এদেশের কতিপয় মানুষ জাতির পিতাকে তিন বছরের মাথায় পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যে কাজ করে গেছেন, পৃথিবীর ইতিহাস গবেষণা করেও এ ধরনের ঘটনা পাওয়া যাবে না। কোন সালে কি হবে, কখন আমরা কি করবো, কিভাবে পরিকল্পনা সাজাবো, সবকিছু নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন তিনি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘যে দেশে শিক্ষা নেই সে দেশে আলো নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক বড় একটি অনুদান দিয়েছেন। যা দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো যাবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব ফরিদ আজিজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোজাম্মেল হক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল বিন করিম প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ