ছাত্রলীগ নেত্রীকে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা স্বামী আটক

সরকারি বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হেনা আক্তার নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের ওই নেত্রীর স্বামী ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগ হেনাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে হেনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায়। এরপর শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই হেনার স্বামী জেলা ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।

হেনার স্বজনদের অভিযোগ, সোহাগ ও হেনার মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। সোহাগ হেনাকে মাঝে মাঝে মারধর করতেন। তাদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। এর আগেও হেনাকে বেশ কয়েকবার মারধর করলে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা হয়েছিল। পরে আবার তাদের মধ্যে মীমাংসা হয় এবং নগরীর সার্কুলার রোডের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত এম আর মুকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে হেনাকে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামীর সোহাগ। তার দাবি ছিল হেনা আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমরা হেনার শরীরে আত্মহত্যার কোনো লক্ষণ পাইনি। কিন্তু সুরতাহাল প্রতিবেদনে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের আগে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ