চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষক সমিতির নির্বাচন: ভোটের আগেই ফল!

আগামী ৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত রবিবার ছিলো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর দেখা গেছে, এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দল।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, গত রবিবার ছিলো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। হলুদ দলের ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও সাদা দলের শিক্ষকদের কেউই মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেউ যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন তাহলে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অষ্টমবারের মতো জয়ের অপেক্ষায় আছে হলুদ দল।

মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন যারা: সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, সহ-সভাপতি পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ পদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ নেওয়াজ মাহমুদ, সদস্য পদে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আযম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এর সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী তানভীর আহাম্মদ।

সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত কয়েক বছরে যেসব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তাতে মেধার মূল্যায়ন হয়নি, সবই দলীয়করণের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন থেকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে না। বলতে গেলে একদলীয় শাসনই চলছে।

তিনি বলেন, আগে প্রভোস্ট বা হাউজ টিউটর নিয়োগের সময় এই দল থেকে ৫০ ভাগ ওই দল থেকে ৫০ ভাগ করে নেওয়া হতো। এখন সাদা দলের কোনো শিক্ষককেই প্রশাসনিক কোনো কজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সারা দেশেই এখন গণতন্ত্র উপেক্ষিত। এরকম পারিপার্শ্বিকতার কারণে আমরা ক্রমেই নির্বাচনে নিরুৎসাহিত হচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ