১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২৫

দ্বিতীয়বারের ভর্তিচ্ছুদের ভাগ্য ঝুলে গেল!

  © লোগো

স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তির জন্য এতদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ পন্থা অবলম্বন করতেন। তবে আসন্ন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা হওয়াতে তা আর থাকছে না। এখন থেকে একই সময়ে, একই প্রশ্নে সকল ভর্তিচ্ছুকে এ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব পন্থা অবলম্বন করাতে দেখা গেছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারতো। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একবারই অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল।

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া কেন্দ্রীয়ভাবে এ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পরপরই ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত হবে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত বিষয়টি নির্ধারণ করবে। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৬২তম সভায় মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। আগামীতে আরও কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ার সাথে আসতে পারে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের ভর্তিচ্ছুরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, সেজন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি বিষয়টি নির্ধারণ করবে।

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবনায় যা আছে: উচ্চ মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পরপরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত সময় অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের একটি স্কোর করে দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার জন্য পৃথক পৃথক তিনটি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। এ তিন শাখায় তিনদিন পৃথক পৃথক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রদানের পর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত পদ্ধতিতে (কিংবা যেভাবে তারা উপযুক্ত মনে করেন) তাদের নিজ নিজ প্রয়োজনীয় শর্তাবলি সংযোজন করে পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এবং নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোরকে বিবেচনা করেই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করবে।

প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী অভিন্ন প্রশ্নে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি তাদের পরীক্ষা নেয়ার সামর্থ্যের অতিরিক্ত আবেদন পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে মেধাক্রমানুযায়ী নিকটতম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক কাউন্সিল/ভর্তি কমিটি ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তারোপ করার সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, বিশেষায়িত বিভাগসমূহ যেমন-স্থাপত্য, চারুকলা ও সঙ্গীত তাদের প্রয়োজনমত শুধুমাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার স্কোর সংযুক্ত করেই মেধাতালিকা তৈরি করবে।