চাপে পড়ে ডিন পদ ছাড়লেন বেরোবি উপাচার্য

  © ফাইল ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের করা সংবাদ সম্মেলনের পর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন পদ ছেড়েছেন। গত শুক্রবার রাতে এই পদে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

পরদিন জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার ভিসির অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ অর্ধশতাধিক অভিযোগ এনে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন ভিসিবিরোধী শিক্ষকদের নতুন সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

সূত্র জানায়, শিক্ষকদের ওইসব অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সরকারের সর্বোচ্চ মহলে কড়া সমালোচনার পর ভিসির নিজের দায়িত্বে রাখা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন পদটি ছেড়ে দেন।

এবিষয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ-উল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর দুই বছরের জন্য ডিন হিসেবে যোগদান করি। গত বছরের নভেম্বরে দায়িত্ব শেষ হবার পর ওই অনুষদে যোগ্য শিক্ষক থাকার পরেও ভিসি নিজে ডিন পদ নিজের দায়িত্বে রেখেছিলেন।’

নতুন ডিন ড. মিজানুর রহমানের যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী ডিন নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন উল্লে­খ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একাডেমিক দিককে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ঠ অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ দেয়া উচিৎ।’

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দেওয়া ভিসির নিয়োগের শর্ত লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ধারবাবাহিক অনুপস্থিত থাকা, ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে সকল বোর্ড ও সভা করা, নারী শিক্ষকের সাথে গোপন ছবি ও নাচ ভাইরাল এবং সেই শিক্ষকের বোনকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে প্রথম বানানো, ব্যক্তিগত সংস্থা জানিপপের কাজে গাড়ী ব্যবহার, একাডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, তিন অনুষদের ডিন ও এক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ট্রেজারার পদ ও ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ আকড়ে রাখা, ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোর করে ঢাকায় রাখা, নিজের মাকে নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট বানানোর অভিযোগ করেন।

এর পরদিন বর্তমান ভিসির আমলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত ও অবকাঠামোগতসহ নানা সুবিধা পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়াও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের দখলদারিত্ব ও নিয়োগ বাণিজ্য করতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ