সমাবর্তন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশে রাব্বানী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) জিএস গোলাম রাব্বানী। মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন দাবি করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান জানিয়েছেন।

ফেসবুকে রাব্বানী লিখেছেন, ‘‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে সমাবর্তন একটা স্বপ্ন এবং অধিকারের নাম। ‘বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ। অধিভুক্ত কলেজগুলোয় অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখেরও অধিক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন হলেও দেশের সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সমাবর্তন হয় না। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং বিব্রতকরও বটে। আমি মনে করি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন যাবত 'সমাবর্তন' নামক তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আগামী শিক্ষা বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’’

এদিকে গত রবিবার উপাচার্য ও রেজিষ্টারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ কেন্দ্রীয় কমিটি। একই দাবিতে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেন তারা।

এসব শিক্ষার্থীরা বলছেন, সমাবর্তন তাদের ন্যায্য অধিকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেনা। অথচ জব সেক্টরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়ে সমাবর্তনের দাবি আদায় করব।

তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রতিবছরে সমাবর্তন আয়োজন করতে হবে; কলেজগুলোতে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত আদায় করা যাবেনা; সকল বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবহারিক কোর্স চালু এবং গবেষণাগার চালু; মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দুর করতে হবে এবং কলেজগুলোকে শুধু সনদপ্রাপ্তির কেন্দ্র না করে সংস্কারের মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় অন্যায়ের ঠাঁই নাই। আমাদের একটাই আশা, একটাই চাওয়া আমাদের উৎসবমুখর বিদায় চাই।


সর্বশেষ সংবাদ