জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন দাবিতে নোয়াখালীতে নতুন কমিটি

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে নোয়াখালীতে সাময়িক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নোয়াখালী সরকারি কলেজের এম আই তানজীরকে সমন্বয়ক ও গোলাম রব্বানী আহ্বায়ক এবং শেখ জিয়াউল হক, মাহবুব রিয়াজ, চৌধুরী বোরহান, আসাদ উল্ল্যাহ, ফারজানা ইয়াসমিন, মনজুরুল হক ইমরুলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

আজ সোমবার কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নোয়াখালীতে নতুন এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

নতুন কমিটি প্রতিনিধিরা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনসহ ৫ দফা দাবীতে কমিটি গঠনের বিষয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সমাবর্তন আমাদের দাবী নয় বরং অধিকার। আর এই অধিকার আদায় করতে হলে একটা কমিটি গঠনের দরকার।

তারা জানান, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নোয়াখালীতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটা সাময়িক কমিটি গঠন করেছি। আমরা আশা করছি নোয়াখালীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকী শিক্ষার্থীরাও আমাদের এই অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করবে।

তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রতিবছরে সমাবর্তন আয়োজন করতে হবে; কলেজগুলোতে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত আদায় করা যাবেনা; সকল বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবহারিক কোর্স চালু এবং গবেষণাগার চালু; মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দুর করতে হবে এবং কলেজগুলোকে শুধু সনদপ্রাপ্তির কেন্দ্র না করে সংস্কারের মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে।

এদিকে গতকাল রবিবার উপাচার্য ও রেজিষ্টারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ কেন্দ্রীয় কমিটি। একই দাবিতে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেন তারা। এসব শিক্ষার্থীরা বলছেন, সমাবর্তন আমাদের ন্যায্য অধিকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেনা। অথচ জব সেক্টরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়ে সমাবর্তনের দাবি আদায় করব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় অন্যায়ের ঠাঁই নাই। আমাদের একটাই আশা, একটাই চাওয়া আমাদের উৎসবমুখর বিদায় চাই।


সর্বশেষ সংবাদ