আন্দোলনে অবরুদ্ধ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, প্রশাসনিক ভবনে তালা

ভিসি বাংলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা
ভিসি বাংলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ((জাককানইবি) পরিবহন, হল এবং মসজিদ-মন্দির সমস্যা নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে ভিসি বাংলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষদ ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের ৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও প্রশাসন থেকে কেউ না আসায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে সকাল ১০ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জয় বাংলার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান পরিবহন সংকট, নিয়োগে অস্বচ্ছতা, আবাসন সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে উল্টো শিক্ষক হয়রানি করছেন। এসব নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সমস্যা এবং সঙ্কট সমাধানের বার বার আশ্বাস দিয়ে আসলেও বাস্তবায়নের জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ নেননি তিনি। এসব অভিযোগে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

এসময় বিপাকে পরে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কোটায় ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা। সকালে প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তারা প্রবেশের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করতে আসেন প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেখ সুজন আলী প্রমুখ। একপর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডি উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করে উপাচার্যসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানাতে আসে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। বিকাল ৫টার মধ্যে লিখিত আকারে প্রশাসনকে কি কি করবে তা নোটিশ করে দিতে হবে অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় সেখান থেকে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে দুই হল চালু করতে হবে, ৫টি বাস প্রদান করতে হবে, মসজিদ এবং মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কথা বলতে এসে তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমি চাইলেই সব হয়না। অনেক বাধা আসে। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আগামী মার্চের ৩০ তারিখের মধ্যে হলে উঠার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ১টি নিজস্ব বাস চালু হবে। অচিরেই মসজিদ মন্দিরের কাজ শুরু করবে প্রশাসন। বিকাল ৫টায় লিখিত আকারে তা আপনাদের জানানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ