আল্টিমেটাম দিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ শিথিল
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:৫৬ PM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:১৭ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের ডাকা লাগাতার অবরোধ আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন বিজয় গ্রুপের নেতারা। এসময় প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়া হলে পুনরায় অবরোধ শুরুর ঘোষণা দেয় তারা। এসময় লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন রাইহান এবং আরবি বিভাগ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সাহিল কবির।
গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথা কাটাকাটির জেরে সিএফসি গ্রুপের একজনকে মারধর করে বিজয় পক্ষ। পরে সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনজনকে আহতের প্রতিবাদ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে এ ঘটনায় দায়ী করে তার বহিষ্কারের দাবিতে লাগাতার অবরোধের ডাক দেয় বিজয় পক্ষ। রাতে নিরাপত্তার জন্য সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় গভীর রাতে সিএফসি গ্রুপের ১২জন ও বিজয় গ্রুপের ৮জনকে আটক করা হয়।
গ্রুপটির দাবিগুলো হলো-
১) গতকাল বিকেলে সোহরাওয়ার্দী হলে ঢুকে আমাদের তিন কর্মীর উপর শিবির স্টাইলে হামলা ও পূর্বের সকল ঘটনার নির্দেশদাতা চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।
২) ছাত্রলীগের সভাপতিকে পদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানায়। এই প্রেক্ষিতে ছাত্রত্বহীন ও বয়স উত্তীর্ণ রেজাউল হক রুবেলকে বহিষ্কার করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবগত করতে হবে।
৩) বিজয় পরিবার তথা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর গতকাল ও পূর্বের সকল ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
৪) গতকাল মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে আটক ৮ নেতাকর্মীকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
৫) বিজয় পরিবারের আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, তাদের দাবিগুলো আমরা বিচার বিবেচনা করে দেখবো। যদি তাদের দাবি যৌক্তিক হয় তাহলে আমরা সেই দাবিকে সমর্থন করি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
ট্রেন চলাচল ও আটককৃতদের ব্যাপারে প্রক্টর বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সক্ষম হলে আজ রাত থেকে ট্রেন চলাচল সচল হবে অন্যথায় আগামীকাল থেকে ট্রেন চলবে। আর যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।